দিব্যাঙ্গ ব্যাক্তিগণ আমাদের সমাজেরই অংশ, তাদেরও সমান অধিকার ও সুযোগ দিতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২৮, : সঠিক পরিচর্যা, সচেতনতা সৃষ্টি এবং ভালোবাসার মাধ্যমে দিব্যাঙ্গজনরাও আত্মনির্ভরতার পথ খুঁজে পাবেন। তাদের শারীরিক বা মানসিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও তারা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন এবং অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করছেন। দিব্যাঙ্গ ব্যাক্তিগণ আমাদের সমাজেরই অংশ, তাদেরও সমান অধিকার ও সুযোগ দিতে হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে ‘সেবা পাক্ষিক-২০২৫’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিব্যাঙ্গজনরা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমাজ গঠনে তাদেরও অবদান রয়েছে। রাজ্যের বর্তমান সরকার সমাজের প্রতিটি মানুষের উন্নতির পাশাপাশি দিব্যাঙ্গজনদের উন্নতির জন্যও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। এক্ষেত্রে তাদের সঠিক যত্ন, ভালোবাসা এবং সচেতনতামূলক পরিচর্যার মাধ্যমে সমাজের মূল শ্রোতে নিয়ে আসতে অভিভাবক এবং পরিবারের সদস্যদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দিব্যাঙ্গজনদের কল্যাণে রাজ্য সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। তিনি জানান, চিফ মিনিস্টার্স স্কিম ফর পার্সনস উইথ ইন্টেলেকচুয়াল ডিজেবিলিটিস প্রকল্পে ৮৯১ জন দিব্যাঙ্গকে আর্থিক সহায়তা করা হবে। সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর আজ এই প্রকল্পটি চালু করেছে। এজন্য ব্যয় হবে ৪৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক সহায়তা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দিব্যাঙ্গজনদের সাহায্য করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে ১৯,৫৮২ জন দিব্যাঙ্গ ব্যাক্তিকে ২ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। দিব্যাঙ্গজনদের অধিকার রক্ষার জন্য রাজ্য ও জেলাস্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে ৮টি ডিডিআরসি রয়েছে। সারা রাজ্যে ৪১,৮১২ জনকে ডিজেবিলিটি আইডেন্টিটি কার্ড দেওয়া হয়েছে। দিব্যাঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রি এবং পোস্ট মেট্রিক স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। দিব্যাঙ্গজনদের কল্যাণে রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পগুলির কথাও মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন এবং নতুন চালু হওয়া প্রকল্পটির সাফল্য কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সেবা পাক্ষিক-২০২৫ জনগণের সেবার জন্য চালু করেছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার সব অংশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়। উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান টুটন দাস, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা এল ডার্লং প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রতীকি হিসেবে কয়েকজন দিব্যাঙ্গজনকে আজ চালু হওয়া নতুন প্রকল্পে সুবিধাভোগীর অনুমোদনপত্র তুলে দেওয়া হয়। তাছাড়া দিব্যাঙ্গ কৃতি খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিগণ তাদের হাতে অনুমোদনপত্র ও সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.