স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের নিরিখে রাজ্য ফ্রন্ট রানার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২৭, : স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে রাজ্যে মেডিক্যাল হাব গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার কাজ করছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের নিরিখে রাজ্য ফ্রন্ট রানার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাভবনে স্বাস্থ্য দপ্তরের জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার এবং বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, আজ ২১৪ জনকে জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার পদে এবং ১২ জনকে লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। এরমধ্যে অনুষ্ঠানমঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২ জনের হাতে জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসারের নিয়োগপত্র এবং ৫ জনের হাতে লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিয়োগপত্র প্রাপ্ত প্রত্যেককেই পরিষেবা প্রদানে আন্তরিক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। সেজন্য জনগণকে পরিষেবা প্রদানের জন্য নিজেকে সেভাবেই তৈরি করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ প্রতিটি ক্ষেত্রের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। রাজ্য সরকারও সেই দিশায় কাজ করছে। রাজ্যে বর্তমানে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। এর প্রকৃত উদাহরণ হচ্ছে রাজ্যে জনগণের গড় মাথাপিছু আয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ১৫০টি এমবিবিএস আসন রয়েছে। আরও ৫০টি আসন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজিএমসি এবং জিবিপি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করে ১,৪১৩টি করা হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৭০৫ জন চিকিৎসক, ৩৬৮ জন প্যারা মেডিক্যাল স্টাফ এবং ৩০৮ জন এমটিএস নিয়োগ করা হয়েছে। বিলোনীয়ায় মা ও শিশুদের জন্য আলাদা হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। আগরতলায়ও মা ও শিশুদের জন্য আলাদা একটি হাসপাতাল তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যে ত্রিপুরাতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য যোজনায় উপকৃত হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলেই রাজ্যে শিশুর মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। টিবি মুক্ত ভারত অভিযানে সফলতা অর্জন করার জন্য আমাদের রাজ্য জাতীয়স্তরে পুরস্কৃত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসারদের দায়িত্ব নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. তপন মজুমদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা সাজু বাহিদ এ, এজিএমসি'র প্রিন্সিপাল অরুণ কুমার সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের ম্যাগাজিন ‘স্বাস্থ্য সংবাদের’ আবরণ উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন...