নদীর ভাঙ্গন রোধের জন্য পূর্ত দপ্তর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২৪, : নদীর ভাঙ্গন রোধের জন্য পূর্ত দপ্তরের জলসম্পদ বিভাগ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা জানিয়েছেন। বিধায়ক রামু দাসের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে নদীর পাড় ভাঙ্গন প্রবণ এলাকায় সিমেন্ট কংক্রিট ব্লক, বোল্ডার স্থাপনের কাজ পূর্ত দপ্তরের জলসম্পদ বিভাগ থেকে হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পঞ্চবটি বাজার সংলগ্ন প্রজাপতি ব্রহ্মকুমারী আশ্রম সংলগ্ন স্থানে ১২৫.০০ মিটার, কাঁটাশেওলার শ্যামসুন্দর পাড়ায় ২০০.০০ মিটার, বঙ্গেশ্বর নদীর জগন্নাথ আশ্রম সংলগ্ন স্থানে ৫০.০০ মিটার, ঋষিদাস পাড়ায় ৭৫.০০ মিটার নদীর পাড় বাঁধানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরে পঞ্চবটি বাজার সংলগ্ন স্থানে ১০০.০০ মিটার, কাঁটাশেওলার বাকি অংশে ২০০.০০ মিটার নদীর পাড় সিমেন্ট কংক্রিট ব্লক দিয়ে বাঁধানোর কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে এবং কাজগুলির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ হাতে নেওয়া হবে ।
বিধায়ক প্রমোদ রিয়াংয়ের অন্য আরেকটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পূর্ত দপ্তরের জলসম্পদ বিভাগ থেকে শান্তিরবাজার বিধানসভার অন্তর্গত লাউগাঙ নদীপাড় ভাঙ্গন রোধের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, শান্তিরবাজার পুরসভার অন্তর্গত ৯ নং ওয়ার্ডে, ৮ নং জাতীয় সড়ক থেকে সুমন দেবনাথের জায়গা পর্যন্ত মোট ১১০.০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বোন্ডার স্থাপনের কাজ চলছে। এছাড়াও লাউগাঙ নদীপাড় ভাঙ্গন রোধের জন্য বিভিন্ন স্থানে মোট ১৮টি কাজের প্রয়োজনীয় এস্টিমেট তৈরি করা হয়েছে, যা উপযুক্ত আনুষঙ্গিক স্কিমে প্রয়োজনীয় আর্থিক ব্যবস্থা সাপেক্ষে কাজগুলি হাতে নেওয়া হবে।
বিধায়ক অশোক চন্দ্র মিত্রের অন্য আরেকটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে পূর্ত তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা জানান, পূর্ত দপ্তরের জলসম্পদ বিভাগ থেকে মুহুরীপুরকে মুহুরী নদীর বন্যা থেকে রক্ষা করার জন্য বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনীয় এস্টিমেট তৈরি করা হয়েছে এবং উপযুক্ত আনুষঙ্গিক স্কিমে প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থানের মাধ্যমে কাজ করার উদ্যোগ হাতে নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পূর্ত দপ্তরের জলসম্পদ বিভাগ থেকে আমজাদনগরে এবং উত্তর সোনাইছড়ির রায় পাড়াতে বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটির সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় এস্টিমেট তৈরি করা হয়েছে এবং উপযুক্ত আনুষঙ্গিক স্কিমে প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থানের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে কাজ করার উদ্যোগ হাতে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন...