২০৮ নং জাতীয় সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২৪, : কৈলাসহর- কমলপুর- খোয়াইয়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ২০৮ নং জাতীয় সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী রাখতে এবং যান চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত জনবল এবং যন্ত্রপাতি মোতায়েন করা হয়েছে। এই সড়কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকা এন.এইচ.আই.ডি.সি.এল. কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন স্তরে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করছেন। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ এবং মহাসড়ক (আর.টি. অ্যান্ড এইচ) মন্ত্ৰী গত ২২ জুলাই এক পত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এই মর্মে অবহিত করেছেন। ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস এবং বিধায়ক শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথের আনা একটি দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, উত্তর ত্রিপুরা থেকে কৈলাসহর- কমলপুর- খোয়াই হয়ে আগরতলা পর্যন্ত সড়কটি ৩টি জাতীয় সড়কে বিভক্ত। এরমধ্যে কৈলাসহর- কমলপুর- খোয়াই পর্যন্ত এলাকা যুক্ত করছে ২০৮ নং জাতীয় সড়ক। খোয়াই থেকে আগরতলা পর্যন্ত এলাকা যুক্ত রয়েছে ১০৮-বি নং জাতীয় সড়কের সঙ্গে। এছাড়া কুর্তি থেকে কৈলাসহর পর্যন্ত এলাকা যুক্ত রয়েছে ২০৮-এর ‘এ’ জাতীয় সড়কের সঙ্গে। এরমধ্যে ২০৮ নং রাস্তার বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। বর্ষার সময় ত্রিপুরায় বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে পেভমেন্টের ক্ষতি হয়েছে এবং স্যাটেলমেন্টের লক্ষণ দেখা গেছে। এই বিষয়ে বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রের ক্লিপিংসে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের ৭ মে পূর্ত দপ্তরের সচিব এন.এইচ.আই.ডি.সি.এল.- এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, খোয়াই জেলার জেলাশাসক, পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকগণ এবং ই.পি.সি. ঠিকাদারের প্রতিনিধিরা রাস্তার বিভিন্ন সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করেন। এন.এইচ.আই.ডি.সি.এল.-এর সদর দপ্তরের ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল-২) এবং এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল) গত ২৭ জুন ত্রিপুরা সফর করেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। রাস্তাটির মেরামতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ই.পি.সি. ঠিকাদার গত ২ মাস ধরে প্রয়োজনীয় কর্মী এবং সরঞ্জাম সক্রিয়ভাবে একত্রিত করছেন। বর্তমানে ই.পি.সি. ঠিকাদার সকল সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। সংশোধনমূলক কাজ ১-২ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঠিকাদারকে ৬০ দিনের সময় বেধে দিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কিউর পিরিয়ড নোটিশ জারি করা হয়েছে। যদি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ঠিকাদার ত্রুটিগুলি সংশোধন করতে ব্যর্থ হন তাহলে ঠিকাদারকে টার্মিনেশনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন...