Hare to Whatsapp
করোনা ভাইরাস সামাজিক স্তরে সংক্রমনের আশঙ্কায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ
By Our Correspondent
আগরতলা, জুলাই ৩, : রাজ্য সরকারও কি মারনব্যাধি করোনা ভাইরাস সামাজিক স্তরে সংক্রমনের আশঙ্কা করছেন? এই আশঙ্কায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ। ফের লকডাউন কঠোরভাবে লাগু করার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার প্রয়োজনে নিতে পারে এমন ইংগিত মন্ত্রী রতনলাল নাথও দিয়ে রেখেছেন।
কেননা, সবচেয়ে বেশী সংক্রমনের আশন্কা করা হচ্ছে পশ্চিম জেলায়। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব যে তথ্য জানিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে পশ্চিম জেলায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ জন।
এত উদ্বেগজনক তথ্য বা সংখ্যা। হঠাৎ করে কিভাবে এত জন সংক্রমিত হল সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পশ্চিম জেলায় তো বহিরাজ্য থেকে খুব কম সংখ্যক লোকজন এসেছেন। অন্তত সরকার সে কথাই বলছে। তাহলে কি ভাবে সংক্রমনের পারদ তরতড়িয়ে উপড়ে উঠে গেল।
মাঠের খবর হল পশ্চিম জেলায়ও বহিরাজ্যে কর্মরত অনেকই রয়েছেন যারা ফিরে এসেছেন। কিন্তু এই তথ্য বা পরিসংখ্যান ব্যবস্হাপনা গোপনেই করা হয়েছে। মুশকিল হল বিমানেও অনেকেই এসেছেন, যাদের লালারস পরীক্ষা তেমন ভাবে করা হয়নি। প্রথমদিকে তো ৫:১ পরীক্ষা করা হয়েছে। বিপদ ওখান থেকেই এসেছে। তদোপরি অমুকের ছেলে, তমুকের মেয়ে। সব জাঁদরেল ঘড়ের। অতএব এদের আবার পরীক্ষা কি? ওখানেও ঘোটালা। আর পক্ষপাতিত্ব। কিন্তু তা করতে গিয়ে তো রাজ্যটাই এখন ভয়ংকর বিপদের মুখোমুখি। সাধারণ মানুষ কে এখন এর হ্যাপা সামলাতে হবে।
এ রাজ্যে হয়না এমন কিছু নেই। নতুবা রাজ্যের করোনা জনিত পরিস্থিতি বেশ ভালই ছিল। হঠাৎ করেই সব তালগোল পাকিয়ে গেল। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের আশঙ্কায় স্বাস্হ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা এখন চিন্তিত। এরা প্রতিরোধাত্নক প্রস্তূতি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন বলে খবর।
খবর হল হয়তোবা গোটা পশ্চিম জেলাকে রেড জোন বা কন্টেইমেন্ট জোন করা হতে পারে। ক'দিন আগে কিন্তু এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী। তবে সরকার তা করতে যাচ্ছে তাতো সবার ভালোর জন্য। কিন্তু হঠাৎ কঠোর, আবার ঢিলেঢালা ভাবে কিন্তু করোনা সংক্রমন ঠেকানো যাবেনা।
যদি এই ধরনের পরিস্থিতি চলতেই থাকে তাহলে তা আগামী দিনের পক্ষে অশনিসংকেত।