প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১৫, : জন্ম যেমন সত্য, মৃত্যুও তেমনি সত্য। এই জন্ম মৃত্যুর মাঝখানে সবার জীবনে মানব ধর্ম পালন করতে হবে। তবেই জীবনের মূল্যবোধ গড়ে উঠবে। মানব জীবনের সার্থকতা আসবে। ১৪ সেপ্টেম্বর বনমালীপুরস্থিত শ্রী শ্রী মহানাম অঙ্গন আশ্রমের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে রক্তদান উৎসবে অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথি মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জীবন সুন্দর করে গড়ে তুলতে হলে আদর্শ নিয়ে চলা প্রয়োজন। সর্বদা মানুষের পাশে দাঁড়ানো দরকার। রাজ্যের বর্তমান সরকার মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সমাজের সবাই যদি নিঃস্বার্থভাবে জনকল্যাণে এগিয়ে আসেন তবেই সুস্থ সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহানাম অঙ্গন আশ্রম সারা বছর বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মুখ্যমন্ত্রী মহানাম অঙ্গন আশ্রমের প্রতিষ্ঠা ও তাদের কাজের কথা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ আজ বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। দেশের প্রতিটি পরিবার যাতে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে সেই লক্ষ্য পূরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ভারতের সংস্কৃতি ঐতিহ্যময়। বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সেই সংস্কৃতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন সময়েই বলেছেন, ভারতের যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্তদানের বিকল্প নেই। এটি সমাজের মহত্তম সেবা। রক্তদানের মতো মহৎ ভাবনাকে সবার মধ্যে জাগ্রত করা জরুরি। রাজ্যের বর্তমান সরকার রক্তদানের পাশাপাশি অঙ্গদানের জন্যও মানুষকে উৎসাহিত করছে। মুখ্যমন্ত্রী নেশামুক্ত জীবনশৈলী অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি রক্তদাতাদের শুভেচ্ছা জানান।
রক্তদান উৎসবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, কর্পোরেটর রত্না দত্ত। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিগণ রক্তদান শিবির পরিদর্শন করেন এবং রক্তদাতাদের উৎসাহ দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিখিল ত্রিপুরা মহানাম সেবক সংঘের সম্পাদক সুদীপ কুমার রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ উপাসক বন্ধু ব্রহ্মচারী মহারাজ, শ্রীমৎ বন্ধু প্রীতম ব্রহ্মচারী প্রমুখ।
আরও পড়ুন...