স্বদেশ দর্শন কর্মসূচিতে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হচ্ছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১৫, : নীরমহল এবং রুদ্রসাগরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও তাকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের কথা আরও ব্যাপকভাবে দেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাতে রাজ্য, বহিরাজ্য ও বিদেশি পর্যটকগণ আরও বেশি করে নীরমহলে আসবেন। বেশি সংখ্যায় পর্যটকদের আসার ফলে এই এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি ঘটবে। ১৪ সেপ্টেম্বর তিনদিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী নীরমহল জল উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। মেলাঘরের রাজঘাটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে নীরমহল ও রুদ্রসাগর অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের দেশে যেসব জল মহল রয়েছে তার মধ্যে নীরমহল অন্যতম। প্রাসাদের সৌন্দর্য এবং এর প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বদেশ দর্শন কর্মসূচিতে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে নীরমহলও রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষের সামগ্রিক উন্নয়নে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। সারা রাজ্যে প্রায় ৬০ হাজার স্বসহায়ক দল গঠন করার মধ্য দিয়ে রাজ্যের নারীদের স্বনির্ভর করে তোলা হচ্ছে। রাজ্যে শান্তির পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখতে এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তুলতে মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানের সভাপতি উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কিশোর বর্মন বলেন, নীরমহল ও রুদ্রসাগর এই এলাকার মানুষের জীবনজীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এই প্রাসাদের জন্য আমরা গর্ববোধ করি। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ড. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন, নলছড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, মেলাঘর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অনামিকা ঘোষ পাল রায়, সিপাহীজলা জেলার এস.পি. বিজয় দেববর্মা, রুদ্রসাগর উদ্বাস্তু মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি পবিত্র কুমার দাস, সমাজসেবী উত্তম দাস প্রমুখ।
নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার পর মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ রাজ্যভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা, মহকুমা ভিত্তিক যোগা প্রতিযোগিতা, রাজ্যভিত্তিক মনসামঙ্গল প্রতিযোগিতা এবং নৌকাবাইচের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন।
আরও পড়ুন...