Hare to Whatsapp
এডিসি ভোটকে সামনে রেখে ত্রিপুরার পাহাড়ী এলাকায় রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ৩০, : তেতে উঠতে শুরু করেছে পাহাড়।বাড়ছে রাজনৈতিক তৎপরতা। বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। শুরু হয়েছে প্রতিপক্ষের উপর হামলা, আক্রমন।গত কদিনে বেশ কয়েক জনের উপর হামলা হয়েছে। একাধিক প্রান ঝড়েছে। এতে উত্তপ্ত টাকারজলা, জম্পুইজলা,গন্ডাছড়া, জগবন্ধু, রইস্যাবাড়ী, রতননগর। উত্তেজনা রয়েছে দশদা, আনন্দবাজার, আশারামবাড়ী, পদ্মবিল সহ আরো বেশ কিছু অন্চলে।পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচন কে সামনে রেখে এই তৎপরতা আগামী দিন আরও বাড়বে।আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচন কে সামনে রেখেই সব দলের তৎপরতা বাড়ছে। তবে তৎপরতায় এখনো এগিয়ে বিজেপি। খবর হল এডিসি দখলে আনতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই চক্কর কাটছেন এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। কখনো সড়ক আবার কখনো বায়ু পথে। ইতিমধ্যেই বিপ্লব বাবু জনজাতিয়দের মন অনেকাংশে জয় করে নিয়েছেন।জনজাতিয়দের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সামাজিক প্রধানদের আগরতলায় এনে বৈঠক করে তাদের জন্য সামাজিক ভাতা প্রদানের ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষনায় উপজাতিয় সমাজের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে ভোটের আগে এই ধরনের ঘোষণা কেন? এর উত্তর তো দেয়ার প্রয়োজন নেই, বুঝে নিতে হয়। একদিকে ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী, অন্যদিকে বিজেপি ও তার জনজাতি শাখা আর প্রশাসনতো আছেই। অন্যদিকে বিরোধী কংগ্রেস তো নখদন্তহীন। লোকে বলে কংগ্রেসের অফিসিয়াল নেতৃবৃন্দের তেমন অভিজ্ঞতা নেই। যে ধরনের অভিযোগ ছিল বীরজিৎ সিনহার।এখনো বীরজিৎ সিনহা ময়দানে। সাংগঠনিক কাজ করেই চলেছেন।অন্যদিকে উপজাতিয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তাদের ভিতকে দূর্বল করেই চলেছে। আইএনপিটি ময়দানে আছে।তবে যেমনভাবে এদের তৎপরতা থাকার কথা ছিল সেটা নেই। আইএনপিটি দলে নেতৃত্বের সংকট রয়েছে। যারা নীতি নির্ধারন করতেন তারা এখন নেই ।এরা প্রয়াত।শ্যামাচরন, নগেন্দ্র জমাতিয়ারাই মূলত দলের নীতি ঠিক কৃতেন। এরা প্রয়াত। অমিয় দেববর্মা অসুস্থ।অন্যরা তো দল ছেড়ে চলেই গেছেন, আবার অন্য অংশ ঘরে বসে গেছেন।বিরোধীদের কাছে বহু ইস্যু রয়েছে।পানীয় জল সংকট, খাদ্য সংকট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিপর্যস্ত রেশনিং ব্যবস্হা, দূর্নীতি পাহাড়ের নিত্যদিনের সমস্যা। কিন্তু বিরোধীরা এই সব ইস্যু কাজে লাগাতেই পারছেন না। তবে বিরোধী দলগুলোও বিশেষ করে সিপিএম কিন্তু বসে নেই।এরা ময়দানে রয়েছে। উপজাতি গনমুক্তি পরিষদের নেতৃবৃন্দ কিন্তু ময়দান চষে বেড়াচ্ছেন। নানা ইস্যুতে এরা উঠান সভা শুরু করেছে।তবে এদের তৎপরতা আগামী দিনে ধীরে ধীরে বাড়বে।এদিকে বিরোধী কংগ্রেস অন্যান্য উপজাতি দলগুলোর সাথে সমঝোতা করার লক্ষ্যে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।আগামী কিছুদিনের মধ্যেই চিত্র পরিস্কার হয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।