সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে শিল্প ও চারুকলার মহৎ ভূমিকা রয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১০, : ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে শিল্প ও চারুকলা, সৃজনশীলতা যত ছড়িয়ে দেওয়া যাবে ততই সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। শিল্প ও চারুকলার সঙ্গে যুক্ত থাকার একটা আলাদা তৃপ্তি রয়েছে। শিল্পকলা সৃজনশীলতার মাধ্যমে একটা ভাষা সৃষ্টি করে। শিল্পকলার মাধ্যমে আরও বেশি করে মানব সম্পদ তৈরী করতে হবে। চারুকলার সাথে রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় স্তরের ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করতে হবে। ৯ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা সরকারি শিল্প ও চারুকলা মহাবিদ্যালয়ে ৫ দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্প ও চারুকলার সাথে যুক্ত শিল্পীদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে নিজেদের পরিচিতি বাড়াতে হবে এবং এর সাথে যুক্ত ছাত্রছাত্রীদের গতানুগতিক চিন্তাধারার বাইরে শিল্প ও চারুকলার ক্ষেত্রে নিজস্ব সৃষ্টিশীল প্রতিভাকে তুলে ধরতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করলেই চলবে না। নিজের সৃজনশীলতার বিকাশে সবথেকে বেশি জোর দিতে হবে। সৃষ্টির ক্ষেত্রে রাজ্যের জনজাতিদের চিরাচরিত সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে এবং তা রাজ্যের বাইরের মানুষের কাছে পরিচিতিলাভের পথকে প্রশস্ত করতে হবে। নিজের সৃজনশীলতা তুলে ধরতে পারলে জীবন জীবিকাও সৃষ্টি হবে। রাজ্যে শারদোৎসব সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল বানানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের চারু ও শিল্পকলার সাথে যুক্ত শিল্পীদের যুক্ত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে শিল্প ও চারুকলার মহৎ ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মূল মন্ত্র হল ভোকাল ফর লোকাল। সেই ক্ষেত্রে শিল্প ও চারুকলার সঙ্গে যুক্ত যুবক যুবতীরা তাদের এই শিক্ষাকে জীবন জীবিকা সৃষ্টির মাধ্যম হিসেবেও গ্রহণ করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার এই সরকারি চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের উন্নয়নে আরও উদ্যোগ নেবে। প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে শিল্প ও চারুকলা শিক্ষার প্রসারে মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্যের অবদান অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, আগরতলা শিল্প ও চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষিকা সংঘমিত্রা নন্দী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন কমিটির কনভেনার ড. সুপ্রতীম পাল। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে আলোচনা করেন সুপর্ণা সাহা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা। সভাপতিত্ব করেন সরকারি শিল্প ও চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানের আগে মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের শিল্পকর্মের একটি প্রদর্শনী স্টল ও ফটো গ্যালারি ও আর্ট এক্সিবিশন পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে এই মহাবিদ্যালয়ের ৫০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মহাবিদ্যালয়ের ২ জন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রকে, প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের এবং প্রাক্তন শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্মাননা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন...