পশ্চিম জেলার ৩টি মহকুমা, ৮টি ব্লক, ৪৭টি ভিলেজে বসবাসরত জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করা হবে : জেলাশাসক
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ৫, : আদি কর্মযোগী অভিযান ২০২৫ কর্মসূচি আজ থেকে পশ্চিম জেলায় শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প। এই প্রকল্পে পশ্চিম জেলার ৩টি মহকুমা, ৮টি ব্লক, ৩৫টি রেভিনিউ ভিলেজের ৪৭টি ভিলেজ কমিটিতে বসবাসরত জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করা হবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ত্রিপুরা গড়তে পশ্চিম জেলার ঐ ৪৭টি ভিলেজ এলাকায় নানা পরিষেবা প্রদানে যে গ্যাপ রয়েছে তা পূরণ করা হবে। এতে জনজাতি কল্যাণ দপ্তর ছাড়াও স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা, গ্রামোন্নয়ন, পঞ্চায়েত, পানীয় জল, পূর্ত, প্রাণীসম্পদ বিকাশ প্রভৃতি দপ্তর কাজ করবে। ইতিমধ্যে ধরতী আবা জনজাতীয় উন্নত গ্রাম যোজনায় প্রতিটি ভিলেজ কমিটিতে স্যাচুরেশন ক্যাম্প করে জনজাতিদের মধ্যে বিভিন্ন শংসাপত্র সহ নানা সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। তথাপি এলাকায় যেসব পরিষেবার ঘাটতি রয়েছে তা আদি কর্মযোগী অভিযানে পূরণ করা হবে। এলক্ষ্যে আগামী ২০৩০ সালকে ভিশন রূপে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার সাংবাদিকদের এই সংবাদ জানান।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্য পূরণে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ১৪০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আরও ফান্ড চাওয়া হবে। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ‘সেবা পর্বে' জনজাতি কল্যাণ দপ্তর সহ অন্যান্য দপ্তরকে নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হবে। এছাড়া এই কর্মসূচি নিয়ে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে জেলা মাষ্টার ট্রেনারদের, ২৩-২৫ সেপ্টেম্বর এই হলে জেলা মাষ্টার ট্রেনার ও ব্লক মাষ্টার ট্রেনার, ৭-১০ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্লক কনফারেন্স হলে ব্লক মাষ্টার ট্রেনারদের, ১৩-২৪ অক্টোবর ভিলেজ কমিটি অফিসগুলিতে ভিলেজ মাষ্টার ট্রেনারদের এবং ২৭-৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন ভিলেজ কমিটি/ ব্লক অফিসে ভিলেজ মাষ্টার ট্রেনার/ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত / স্বসহায়ক দলের সদস্য-সদস্যাদের ওরিয়েন্টেশন ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই মাষ্টার ট্রেনারগণ ভিলেজ অ্যাকশন প্ল্যান তৈরী করবেন। এই কর্মসূচিতে জনজাতি এলাকায় যেসকল পরিষেবায় গ্যাপ রয়েছে তা পূরণ করতে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। অর্থাৎ স্পেশাল প্রভিশন নেওয়া হয়েছে। যাতে ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ত্রিপুরা গড়ে তোলা যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক অরূপ দেব এবং জেলা জনজাতি কল্যাণ আধিকারিক উত্তম ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন...