Hare to Whatsapp
পানীয় জল সংকট শুধু পার্বত্য অঞ্চলেই নয়, শহরাঞ্চলেও তীব্র আকার ধারণ করছে
By Our Correspondent
আগরতলা, ২৫ , : রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে অভাবিত পানীয় জল সংকট। এই সংকট শুধু পার্বত্য অঞ্চলেই নয়, শহরাঞ্চলেও তীব্র আকার ধারণ করেছে। খোদ রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন এলাকায় এই সংকট এমন আকার নিয়েছে যে, শহরবাসী চোখেমুখে সর্ষে ফুল দেখছেন। এই সংকট থেকে উত্তরণের কি পথ তারও কোন দিশা নেই।
রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন ওয়ার্ড বিশেষ করে ১৪,১৬,৭,১২,৯ নং ওয়ার্ডে বসবাসকারীদের অভিযোগ, পাইপ লাইনে জলের পরিবর্তে হাওয়া আসছে। এমনিতেই এখন জলের প্রয়োজন বেশি। কেননা, করোনা জনিত কারণে বার বার হাত দূরে হয়।বাইরে থেকে এসে স্নান করতে হয়। স্বাভাবিক ভাবেই জল বেশী লাগে। কিন্তু জল পাওয়াই যাচ্ছে না। কি ভাবে ব্যবহার করা হবে? পার্বত্য অঞ্চলের কথাতো আর উল্লেখ করার অবকাশ নেই।শুখা মরশুম পাহাড় শুকিয়ে কাঠ। এক রুক্ষতা গ্রাস করেছে পার্বত্য অঞ্চলকে। পাহাড়ের জমি ফেটে যেমন চৌচির, তেমনি জলের যে সব উৎস ছিল সেগুলির হাড়গোড় বেরিয়ে পড়েছে। তবু উপজাতিয়রা ভোরের আলো ফোটার আগেই জলাধার বা ডোবা, ছড়া নদীতে ভীড় জমাচ্ছে। পাহাড়ের গায়ে গর্ত খুঁড়ে জল সংগ্রহ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জল তো আসছেই না। তবু এক আধটু জল পানের জন্য নিয়ে যাচ্ছে।গোবিন্দপুরের রতীশ দেববরমা বললেন জলের জন্য ভূমিপুত্ররা পাগল হয়ে যাচ্ছেন। তবে সরকার কিছু কিছু অন্চলে ট্যান্কারে জল সরবরাহ করছে। ট্যান্কারের জলের অবস্হাও বেশী ভাল নয়। ঘোলাটে জল। সাধারনত নদী, ছড়া থেকে জল উত্তোলন করা হয়ে থাকে।
ডিপ টিউবওয়েল যে অন্চলে আছে সেখানেও ট্যান্কারে জল ভরার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। কেননা আধা সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বিএসএফের ট্যান্কার গুলি তো রাতেই চলে আসে। আগে এরা জল সংগ্রহ করে থাকে।
পরে অন্যান্যদের জল নিতে হয়।
এই অভাবিত পানীয় জল সংকটে সাধারণ মানুষ খুবই সমস্যায় পড়েছেন। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের কোন পথ মানুষ পাচ্ছেন না, সরকারও বিব্রতকর অবস্থায়।
জলের দাবীতে বিভিন্ন স্হানে পথ অবরোধ হচ্ছে। আপাতত ট্যান্কারে সরবরাহ করে সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে।
জলের সংকটে কৃষি ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মক ভাবে।পাম্প গুলি দিয়ে জল দেয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা আরো সমস্যায়।এর প্রভাব পড়বে সাধারণ জীবনে। কেননা শাকসবজি, ধানের দাম বাড়ছে।