Hare to Whatsapp
সুষ্ঠু বদলীনীতির অভাবে চাকুরী শেষের এক বছর আগেও হোমটাউনে বদলি হতে পারছেননা বহু শিক্ষক!
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ২২, : অনেকেই বলে থাকেন ত্রিপুরা নাকি পান্ডব বর্জিত রাজ্য। অনেক কিছুই হয় আবার হয়না যতই শুকতলী ক্ষয় হয়ে যাক না কেন।
এ রাজ্যে সরকারী কর্মচারীদের জন্য সরকারের বদলী নীতি আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য। আগে তো একটা নীতি বা বাধ্যবাধকতা ছিল অবসরের অন্তত ২ বছর আগে বাড়ীর আশপাশে বদলী করা হয়।যাকে বলে হোম ফেসিলিটী। এখন এটা কাড়ে উঠেছে। চকম বেয়েও নীতি বাবুর ধারে কাছে পৌছা যায়না। এই প্রতিবেদক এমন কজনকে জানেন যারা আগামী বছরের মার্চ মাসে অবসরে যাবেন। কিন্তু ওদের কপাল মন্দ। ১০ মাস বাদে অবসরে যাবেন। কিন্তু বাড়ী বা ভাড়া বাড়ীর আশেপাশে বদলী পর্যন্ত করা হয়নি এখন পর্যন্ত। আর করা হবে বলে মনেও হয়না।
করা হবেই বা কেন? শিক্ষামন্ত্রী তো এখনো মনে করেন নি। অথচ দেয়ালের খবর বলে যে উনি অনেক বদলী করেছেন। বদলী তাদের করা হয়েছে যাদের একটা অংশ আবার মেলার মাঠের অনুগত। শুধু অনুগত নয়, কট্টর। লোকে বলে এঁরা মেলার মাঠের ডাকে দৌড়ে উঠে।সরকার ক্ষমতায় আসার ৭ দিনের মাথায় বনমালীপুর দীঘির পূর্ব পাড়ের স্বঘোষিত এক শিক্ষককে বদলী করে বোধজং স্কুলে আনা হয়েছে। ওই ভদ্রলোক এখন চা ষ্টলে দাড়িয়ে সকাল সন্ধ্যায় রতন বাবুর গোষ্ঠী কীর্তন করেন। সিপিএম -এর মিছিল মিটিং করেন।
আরো বেশ কয়েকজনকে বদলী করে রাজধানীর কাছাকাছি আনা হয়েছে। যাদের আনা হয়েছে তাঁরা কট্টর বামপন্থী। এলাকার লোকজন এমনটাই বলে থাকেন। যারা রতন বাবুর দৌলতে বদলী হয়ে এসেছেন তাদের দাপটে নাকি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের তটস্থ হয়ে থাকতে হয়।
কেন বদলী নীতি থাকবে না, না থাকলে প্রনয়ন করতে দেরী কেন? আর অবসরের আগে দু'বছর কেন এরা বাড়ীতে থেকে স্কুলে যাতায়াত করতে পারবেনা? অবশ্যই পারতে হবে। গোটা দেশেই এই নিয়ম। এরাজ্যে অবশ্যই ভিন্ন নিয়ম। কেননা জ্ঞানী গুণীরা রাজ্য পরিচালনায়।এখানেই তো শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেনিয়ম তাড়া করে।
তখন নৃপেন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভার অধিবেশন চলছে। কর্মচারীদের, বিশেষকরে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলী নীতি প্রসঙ্গে আলোচনা চলছে। বক্তব্য রাখতে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলতে শুরু করলেন আমি মুখ্যমন্ত্রী, আমি জানতেই পারলাম না রাজ্যে কর্মচারী কতজন আর শিক্ষক শিক্ষিকারা কতজন? এখানেই গ্যাড়াকল।
খবর হল এই অবস্থা কিন্তু এখনো বহাল রাজ্যে। কবে -এর অবসান হবে তা খোদায় মালুম।
যাদের ৯/১০ মাসও চাকরি নেই , জীবন ভর হোম টাউনে চাকুরী করার সুযোগ পাননি , তাদের এ ভাবেই পেনশনের যেতে হবে। সবারতো আর দাদা, মামা, মেসো মন্ত্রী নয় যে সুবিধা পাবেন। অনেকেই আছেন, দিব্যি দোকান দিয়ে বসে আছেন, চাকুরীও করছেন, দাদা, মামার শ্লোগান দিতে দিতে গলা কাঁপাচ্ছে তাঁরা। গাছেরও খাচ্ছে আবার তলারও খাচ্ছে। এদের কাছে বাম যা রামও তা। সরকার কী এদের জন্যই?