Hare to Whatsapp
কন্টেইনমেন্ট জোনেও শিক্ষকদের ছাত্রদের বাড়ী বাড়ী পাঠানো হচ্ছে
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ২১, : পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক আর কে নগর টিএস আর ব্যারাক এলাকাকে কোভিড ঝুঁকি পূর্ণ বলে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু জেলা শাসক যখন ওই এলাকাকে ঝুঁকি পূর্ণ বলে ঘোষণা করেছেন তখন কিন্তু আশপাশের এলাকায় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের রীতিমতো স্কুলে যেতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় এদের ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ীতে যেমন পাঠানো হচ্ছে তেমনি শিক্ষক শিক্ষিকাদের রীতিমতো স্কুলে যেতে হচ্ছে।
এ কেমন অবস্হা? শিক্ষক শিক্ষিকারা মুখবুজে সব সহ্য করছেন। কিছু বলতেও পারেন না প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা।
ওই এলাকার শিক্ষকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ কথায় কথায় শিক্ষামন্ত্রীর ধাপ দেখাচ্ছেন।ব্যক্তিগত কারনে স্কুলে যেতে না পারলে এঁরা সিএলও এনজয় করতে পারছেন না। আবার তাদের অনুপস্হিত দেখানো হচ্ছে।
অবাক কান্ড হচ্ছে যে শুধু রানীরগাও স্কুলের ক্ষেত্রেই এ সব বেশী হচ্ছে, অন্য স্কুলে খুব বেশী হচ্ছে না। এটা কেন হবে এবং কারনটা কি? এই প্রশ্ন কিন্তু এলাকায় উঠেছে এবং শিক্ষা মহল ও জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সন্চার হয়েছে।হবে এটা স্বাভাবিক।কে কখন কিভাবে মারন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে যান তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
প্রশ্ন শিক্ষা মন্ত্রী তো ওর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র মোহনপুরে এমন তুঘলকি রাজ চালাচ্ছেন না। তবে কেন রানীরগাও- এর ক্ষেত্রে এটা করা হচ্ছে? যদি এই ধরনের কান্ডক্রম চলতেই থাকে, তাহলে কিন্তু শিক্ষা মহলে বিস্ফোরন হতেই পারে।করোনা সংক্রমনের ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে এধরনের আচরন করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যেখানে শিক্ষামন্ত্রী নিজেই বলছেন সেপ্টেম্বর, অক্টোবরের আগে স্কুল খোলার সম্ভাবনা নেই, সেক্ষেত্রে কেন এদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে? জীবনের ঝুঁকি তো রতন বাবু নিতেই পারেন না। যেখানে জীবনের নিশ্চয়তা নেই, সেখানে কেন ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে?
শুধু একটি স্কুলের সাথে কেন বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে? অন্য স্কুলের ক্ষেত্রে তো এমনটা হচ্ছে না।
আরো অবাক কান্ড স্কুলে যাওয়ার জন্য কিন্তু লিখিত ভাবে কোন নির্দেশ দেয়া হচ্ছে না। সব অলিখিত ভাবেই চলছে।