Hare to Whatsapp
জলাবাসা দ্বাদশ বিদ্যালয়ের বহু লক্ষ টাকার মূল্যবান গাছ কেটে গায়েব করে দিলেন এক ঠিকাদার
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ১৯, : উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত জলাবাসা বিদ্যালয়ে একটি DITE- কলেজ- এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কাজের সূচনাতেই ঠিকাদার অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে, নির্মাণ কাজের বরাদ্দ পায় ফাউন্ডেশন হেড নামক একটি নির্মাণ সংস্থা। জানাগেছে, এই সংস্থাটির কর্ণধার পানিসাগর বিজেপি মন্ডলের পদচ্যুত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেবের ছোট ভাই তথা পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত - এর চার নং ওয়ার্ড-এর বাসিন্দা বিপ্লব দেব ।
অভিযোগ, উক্ত কলেজ নির্মাণের কাজের সূচনাতেই অধিক অর্থ উপার্জন করার উদ্দেশ্যে জঙ্গল দস্যু বীরাপ্পন ফর্মুলা ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছেন ঠিকাদার বিপ্লব।
ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, ১৮ জুন সকাল আনুমানিক ১০ টা নাগাদ এলাকার কিছু সংখ্যক সমাজসেবী জলেবাসা দ্বাদশ বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে দেখতে পান যে, বিদ্যালয়ের সরকারি ভূমিতে অবস্থিত বিগত কুড়ি পঁচিশ বছরের পুরনো কিছু মূল্যবান গাছ কেটে চিড়িয়ে কাঠ তৈরি করার কাজ চলছে। এই বিদ্যালয়ের ২০/২৫ বৎসরের পুরানো প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিজ হাতে লাগানো গাছগুলিকে কাদের নির্দেশে এবং কেন কেটে ফেলা হচ্ছে তার কারণ জানতে চাইলে, কর্মরত শ্রমিকরা জানান যে, নির্মিয়মান বিল্ডিং কন্সট্রাকশন-এর কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার বিপ্লব বাবু-র নির্দেশেই কাজটি তারা করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়-এর প্রাক্তন ছাত্র ও সমাজসেবিদের সাথে থাকা জলাবাসা বিদ্যালয় এলাকার স্থায়ী বসবাসকারী এক যুবক প্রণব নাথ উপস্থিত ঘটনাবলীকে নিজ মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। সেই সময় উপস্থিত সবার সম্মুখে প্রণব নাথের উপর হামলে পড়েন উক্ত নির্মাণকারী ঠিকাদার বিপ্লব। এমনই অভিযোগ উপস্থিত সমাজসেবীগণ সহ আক্রান্ত প্রণব নাথ- এর। ঘটনাস্থলে, পানিসাগর আর ডি ডিপার্টমেন্টের এসডিও সুজিত দত্ত -এর আমন্ত্রণে কলেজ নির্মাণের অন্য এক কাজে উপস্থিত ছিলেন জলাবাসা এলাকার স্বনামধন্য সমাজসেবী তথা, বর্তমান পানিসাগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সঞ্জয় দাস । উনারা সবাই তখন জলাবাসা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে কলেজ নির্মাণকারি ঠিকাদার বিপ্লবকে উক্ত গাছগুলিকে কেন কাটা হয়েছে জানতে চাইলে, তিনি দাবী করেন যে, উর্দ্ধতন প্রশাসনিক আদেশ অনুসারে জঙ্গলাকীর্ণ স্থান পরিষ্কার করার বৈধ নির্দেশ নামা নিয়ে উক্ত গাছগুলি তিনি কাটিয়েছেন এবং গাছগুলি চিড়িয়ে কাঠ তৈরি করে নিজের কাছেই রেখেছেন বলে স্বীকার করেন। কিন্তু সংবাদকর্মীরা যখন উনার কাছ থেকে এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তখনই সংবাদকর্মীদের পরিচয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে পরিচয় পত্র দেখতে চান। বাধ্য হয়ে কর্মরত সংবাদকর্মীরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার স্বার্থে বর্তমান রাম আমলের বীরাপ্পনকে নিজের পরিচয় পত্র দেখিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে পিছুপা হননি। উপস্থিত সংবাদকর্মীরা নির্মাণকারী সংস্থার ঠিকাদারকে গাছ কাটার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি গাছ কাটার স্বীকারোক্তি দিলেও চিড়াই কাঠ গুলি বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসীরা নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন। কিন্তু এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যে, গতকাল রাত আনুমানিক ৮ টা নাগাদ গাড়ি করে উক্ত কাঠ গুলি বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী এঘটনার তদন্ত দাবি করছেন।