Hare to Whatsapp
বখাটেদের শায়েস্তা করতে প্রকৃত সাংবাদিকদের প্রেস স্টিকার প্রদানের দাবী
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ১৮, : অন্য রাজ্যের কথা বলা সম্ভব নয়, তবে এরাজ্যের কিছু কথা বলা সম্ভব। এরাজ্যে এক শ্রেণীর উচ্চিংরে, বখাটে, ধন্ধাবাজ যুবক সাংবাদিকতার নামে যেমন ড্রাগস বানিজ্যের সাথে জড়িয়ে পড়েছে তেমনি সাংবাদিকতার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। বাইকে, এমনকি গাড়ীতে প্রেস, সংবাদপত্র ষ্টিকার লাগিয়ে যত অসামাজিক কাজ আছে তা এরা দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বলার যেমন কেউ নেই তেমনি নিয়ন্ত্রণ করার ও কোন পক্ষ নেই।
পুলিশ! পুলিশকে এরা আমলই দেয়না। বরং উল্টো পুলিশকে এদের কাছ থেকে সমঝে চলতে হয়।তাই চলার পথে দেখা যায় দিব্যি ওই বখাটে দুনম্বরী সাংবাদিক নামধারীরা পুলিশের সাথে দিব্যি যেখানে খুশি সেখানে বাইক দাড় করিয়ে আড্ডা মারছে। পুলিশেরও কিছু করার নেই। কারন ভিডিও ক্লিপিং বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চালিয়ে দেয়। গত দু'বছরে এরাজ্যে অন্তত শতাধিক চ্যানেল হয়েছে যা সামাজিক মাধ্যমে চালানো হয়। এতো ব্লাকমেইলিং এর ব্যবসা। ওই সব তথাকথিত সামাজিক চ্যানেলের যন্ত্রনায় অস্থির হয়ে উঠেছে সাংবাদিকদের একটি সংগঠন। এরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তথ্য দপ্তরের মাধ্যমে প্রেস স্টিকার প্রদানের দাবী জানিয়েছে। তবে এসব বখাটেরা সাংবাদিক নেতাদের একটি অংশের প্রশ্রয়েই রয়েছে।
খবর রয়েছে যে রাজধানীর অন্তত চার থানার তরফে কয়েকজন সাংবাদিক সম্পর্কে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। হলে কি হবে, এসম্পর্কে কোন ব্যবস্হা নেই বলে খবর। আবার এদের নানাভাবে ব্যবহার করে থাকে ১/২ জন। এদের হাতে মং ৫০০/ গুঁজে দিয়ে বলে দেয়া হয় নির্দিষ্ট ফুটেজ আনার জন্য। ব্যস হয়ে গেল। মং ৫০০ও পেল আবার জাহির করার সুযোগ পেয়ে গেল।
কিন্তু এটা ঘটনা এই সব ঘটনা প্রবাহ বা উচ্চিংড়ে বখাটে অসামাজিক যুবকদের পবিত্র পেশার অঙ্গন থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় না করা হলে সাংবাদিকতার ভাবমূর্তি আরও ক্ষুন্ন হবে।
এক শ্রেণীর দুনম্বরি তথাকথিত ব্যবসায়ী রয়েছে যারা ওই সব তথাকথিত অসামাজিক যুবকদের তাদের ব্যবসায় ব্যবহার করে থাকে।মোটরষ্টান্ড এলাকায় ৩/৪ টি রোড সাইড টি ষ্টল রয়েছে যেগুলির আশপাশে সন্ধ্যা হতেই বেশ কিছু যুবক ঘুরঘুর করে। এদের বাইক রয়েছে। রয়েছে বাইকে প্রেস ষ্টিকার লাগানো। এক দুঘন্টা তো ওরা আড্ডা দিয়েই থাকে। এই সময়টায় এরা ওখানে কি করে থাকে তার তথ্য তো পুলিশ সংগ্রহ করতে পারে। তেমনি সিসিটিভি থেকে পেতে পারে।ভাল করে বিশ্লেষন করলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে। ওখানেই আবার বনমালীপুর এলাকার দুএকজন তথা কথিত শিক্ষিত (!) পানখানেওয়ালা আসে, যারা নিজেদের অমুক তমুকের আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে উদ্দেশ্য হাসিল করে থাকে। এদেরই একজন মোবাইলে বহিরাজ্যের দুজন ঠিকেদার থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায় করেছে দুবছর আগে। পুলিশ এ তথ্য জানে। জেনেও হাতেনাতে ধরার অপেক্ষায় রয়েছে বলে খবর।
তবে ড্রাগস বানিজ্য আগে যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে। যদিও ইনফোর ধারাবাহিক সংবাদের ফলে অনেকেই সতর্ক হয়ে গেছে।