Hare to Whatsapp
মুদীর লোকালের জন্য ভোকাল শ্লোগান রূপায়নে প্রশাসনিক উদ্দোগহীনতায় ত্রিপুরার বাজারে ভর্তি চীনা পণ্যদ্রব্য
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ১৭, : গোটা দেশ জুড়ে যখন চীনের পন্য বয়কটের দাবী জোরদার হচ্ছে ঠিক তখন রাজ্যের বাজার ছেয়ে যাচ্ছে চীনা পন্যে। যদিও আগে থেকেই চীনা পন্যের রমরমা বাজার রয়েছে এ রাজ্যে, বিশেষ করে রাজধানী আগরতলায় ছিল।চীনের কোন পন্য রাজ্যের বাজারে নেই? সব পন্যই রয়েছে।
শুধু তাই নয় রাজ্যের কয়েকজন ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত বেজিং, সাংহাই যাওয়া আসা করেন। এমন কয়েকজন রয়েছেন যাদের সাংহাইতে ব্যবসা রয়েছে। এমনকি সাংহাইতে অংশীদারিত্ব ব্যবসাও রয়েছে। এদের আবার নয়ডাতেও রয়েছে ইলেকট্রনিক পন্যের ব্যবসা। আবার আগরতলায়ও প্রাইম লোকেশানে অফিস রয়েছে, রয়েছে ব্যবসা।বাম আমলেই এঁরা ফুলেফেঁপে উঠেছে।
বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানে চীনা পন্য- চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। হয়েছে ধর্না। ধর্না, বিক্ষোভ হয়েছে জম্মুতেও। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি সহ নানা স্হানে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এমনকি চীনা পন্যের যারা ব্যবসা করে তাঁদেরও বয়কটের দাবী উঠেছে।
যখন বয়কটের দাবীতে বিক্ষোভ, ধর্না অব্যাহত তখন রাজ্যে সব স্বাভাবিক অর্থাৎ চীনা পন্য রমরমিয়ে বেচাকেনা চলছে।
এ রাজ্যে বটতলা বাজারে কি নেই। চীনের তৈরীর প্রায় সব পন্যই রয়েছে।কোন এক সময় বাংলাদেশ মার্কেট বলে ছিল পরিচিত। ওই মার্কেটে সব চীনা পন্য রয়েছে। আগে যেমন এপার ওপার হত ব্যাপক ভাবে এখনো তেমনি হয়। তবে রুট বদল হয়েছে হয়েছে মাত্র। ওই বাজারে কোন অভিযান হয়না। কয়েক বার অভিযান চালিয়ে অভিযানকারীদের প্রান নিয়ে পালাতে হয়েছে।
মোবাইল, ইলেকট্রনিক পন্য যা এরাজ্যে বিক্রি হয়ে থাকে তার ৯০ শতাংশ চীনের। শুধু মোবাইল কেন, রাজ্যে বাড়ী বাড়ী যে সেটটপ বক্স রয়েছে সেগুলো তো চীনেরই তৈরী। ৩০০/ টাকার সেটটপ বক্স ১৮৮০/ টাকায় বিক্রি করেছে ওঁরা। রাজ্য সরকারের কোন নির্দেশিকাও কাজ হয়নি। গ্রাহকদের গলা কাটা নির্বিচারেই হয়েছে। এখন চলছে। রাম জামানায় অনেক কিছুর পালা বদল হয়েছে। আগে ১৭ জন আর এখন ৪ জনে মিলে লাখো লাখো টাকা কামাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী যেখানে লোকালের জন্য ভোকাল ও আত্মনির্ভরতার ডাক দিয়েছেন সেখানে এখনও কিভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যে মুড়িমুড়কির মত চীনা পন্যের রমরমা ব্যবসা চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।