স্বেচ্ছায় রক্তদান এখন রাজ্যে গণজাগরণের রূপ পাচ্ছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, আগষ্ট ১৭, : স্বেচ্ছায় রক্তদান এখন রাজ্যে গণজাগরণের রূপ পাচ্ছে। বিভিন্ন ক্লাব ও সামাজিক সংস্থা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রক্তদানের মত সামাজিক কর্মসূচিতে এগিয়ে আসছে। আমরা বিভিন্ন দানের কথা শুনেছি, তবে রক্তদান সমস্ত দানের উর্ধ্বে। একজন ব্যক্তির দান করা রক্তের মাধ্যমে ৩ জন মূমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচানো যেতে পারে। তাই স্বেচ্ছায় রক্তদান মানবধর্মের শ্রেষ্ঠ দান রক্তদানে একটি আলাদা অনুভূতি রয়েছে, যার কোনও তুলনা হয়না। ১৬ আগস্ট আগরতলা এডিনগরস্থিত অরবিন্দ সংঘের ৭০তম প্রতিষ্ঠা দিবস এবং ঋষি অরবিন্দের ১৫৩তম জন্মদিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, জনসংখ্যার অনুপাতে এক শতাংশ রক্ত ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে মজুত থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি রক্তের চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে সমতা বজায় রাখাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা পর্যন্ত রক্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়। রক্ত সঞ্চালন পর্ষদ এ বিষয়টির উপর নজরদারী রাখছে। রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলে মোট ১৪টি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। তাছাড়াও রয়েছে ব্লাড সেপারেশন সেন্টার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একজন সুস্থ সবল পুরুষ ও মহিলা বছরে যথাক্রমে চারবার ও তিনবার রক্তদান করতে পারেন। রক্তদান করলে শারীরিকভাবেও সুস্থ থাকা যায়। তবে এখনও রক্তদান সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই ক্লাব ও সামাজিক সংস্থাগুলিকে রক্তদান সম্পর্কে আলোচনাসভা করার উপর মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন। অরবিন্দ সংঘের এই ধরণের সামাজিক উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জনজীবনে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কেও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন ড্রাগসের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গির কথা ব্যক্ত করে বলেন, রাজ্য সরকার ড্রাগসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে। ড্রাগস কারবারী বা ড্রাগসের সাথে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলেও মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বর্তমানে ভারতবর্ষ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছে। ত্রিপুরার অর্থনীতিও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। জিএসডিপি'র ক্ষেত্রে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। রাজ্য সরকার কথার চেয়ে কাজে বেশি বিশ্বাস করে। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস এসরকারের মূল মন্ত্র। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সারা দিয়ে রাজ্যেও হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের কথাও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন।

রক্তদান শিবিরে বিধায়ক মীনারাণী সরকার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কর্পোরেটর অলক রায়, অরবিন্দ সংঘের সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় ঘোষ এবং সভাপতি শ্যামল কান্তি দে। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানাধিকারী_এলাকার ছাত্রী তুলিকা চৌধুরীকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাদের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.