Hare to Whatsapp
মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি গুলির গ্রামীণ রোজগারহীন ঋণগ্রহীতাদের উপর কিস্তির জন্য চাপ সৃষ্টিতে প্রতিক্রিয়া
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ১৬, : কাজ নেই। ফসলের উৎপাদন নেই। পশুর ফার্মে ব্যাপক লোকসান। অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায় রীতিমতো ভরাডুবি। রোজগারের উপায় নেই। ঠিক এমন একটা অবস্থায় এরাজ্যে বিভিন্ন মাইক্রোফাইন্যান্স কোম্পানিগুলি বিভিন্ন কায়দায় ঋণগ্রহীতাদের উপর সাইকলজিক্যাল প্রেসার সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাইক্রো ফাইন্যান্স সংস্থা বন্ধন আরোহন সাথী ভিলেজ সহ আরো কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। রাজ্যের আটটি জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযোগ উঠেছে যে মাইক্রোফাইন্যান্স কোম্পানি গুলির সুদ কিংবা টাকা যিনি কালেকশন করেন তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে নানা প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন। এবং সুদ এবং আসল টাকার ধারাবাহিক কিস্তি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন। অভিযোগ ঋণগ্রহীতারা যারা বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত যারা কর্মহীন তাদের বর্তমান দুরাবস্থার কথায় সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদিতে কোনো কর্ণপাত করছে না সংস্থাগুলির কর্মকর্তাগণ। এতে করে এ রাজ্যের আপামর মাইক্রোফাইন্যান্স ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে হতাশা আতঙ্ক কিংবা ডিপ্রেশন বেড়েই চলছে। ঋণের টাকা কিংবা সুদ না দিতে পারায় আত্মহননের ঘটনা রাজ্যে নতুন নয়। সপরিবারে আত্মহত্যা করেছে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে।অজস্র উদাহরণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন জেলায়। এক্ষেত্রে যখন কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন মাইক্রো ফাইনান্স কোম্পানি গুলিকে ঋণগ্রহীতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার জন্য বার্তা দিচ্ছেন তখন কেন ঋণগ্রহীতাদের দুরাবস্থার মধ্যে কিংবা দুর্ভাবনার মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে তথ্য বিজ্ঞ মহলে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ।জানা গেছে দারিদ্র্য সীমা রেখার নিচে বসবাসকারী বহু পরিবার ইতিমধ্যেই বিষয়টিকে ঘিরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। উত্তর ত্রিপুরা জেলা ঊনকোটি জেলা সিপাহী জলা জেলা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা সহ অন্যান্য জেলার বেশ কয়েকটি টিম এক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাদের কথা একটাই লকডাউন উঠে গেলে কাজকর্ম জুটবে। এবং ঋণের সুদ দেওয়া সম্ভব হবে কিংবা আসল টাকা, সেটাও দেওয়া সম্ভব হবে। স্বাভাবিক কারণেই মাইক্রোফাইন্যান্স গুলির এমন শোষণ মুখি কর্মকাণ্ডে হতাশ এবং ক্ষুদ্ধ সচেতন মহল। মহলের বক্তব্য বন্ধন সাথী সহ বিভিন্ন মাইক্রোফাইন্যান্স সংস্থা এ রাজ্যে বিভিন্ন কায়দায় মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের ব্যবসা পেতেছে। এদের কর্পোরেটিজম বিজনেসের যাঁতাকলে পড়ে বহু পরিবার এই মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে পড়েছে। সেই সমস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে মাইক্রো ফাইন্যান্স সংস্থাগুলির কোন মানবিক ভূমিকা নাই এমন এমন অনেক ঘটনা রয়েছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। অভিযোগ উঠেছে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সমস্ত সংস্থা শুধুমাত্র সাধারণ মানুষকে লুটেপুটে খাওয়ার বিভিন্ন পন্থা এবং পদ্ধতি বের করে চলেছে।