প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ এক শক্তিশালী দেশের মর্যাদা পেয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, আগষ্ট ১৫, : ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাজন দেশের মানুষের মধ্যে এক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। দেশের আগামী প্রজন্ম তথা ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই দেশ বিভাজনের করুণ ইতিহাস জানা থাকা প্রয়োজন। কারণ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েই ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়া যায়। বিভাজনের মাধ্যমে কখনও অগ্রসর হওয়া যায় না। ১৪ আগস্ট আগরতলায় এম.বি.বি. কলেজের রবীন্দ্র হলে আয়োজিত দেশ বিভাজনের বিভীষিকা স্মৃতি দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশভাগের ফলে তৎকালীন সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা, লড়াই, দুর্ভোগ এবং তাদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যেই এই দিবস পালন করা হচ্ছে। দেশভাগের পিছনে ছিলো তখনকার সময়ের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, যা দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন সম্পত্তি, মান সম্মান বিসর্জনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আগামী প্রজন্মকে সেই ইতিহাস স্মরণ করতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে ২০২১ সাল থেকে ১৪ আগস্ট দিনটি দেশ বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সর্বদা ঐক্যবদ্ধ এবং সজাগ থাকতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এরকম কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ এক শক্তিশালী দেশের মর্যাদা পেয়েছে। দেশের অখন্ডতা রক্ষায় ও দেশকে শ্রেষ্ঠ এবং বিকশিত ত্রিপুরা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কিশোর বর্মন বলেন, দেশ বিভাজনের ইতিহাস ভারতের জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। এমন দিন যেন ভারতে আর ফিরে না আসে সেই সংকল্প নিতে হবে। তিনি বলেন, যে কোনও দেশের স্বাধীনতা দিবস মানেই হল আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও প্রেরণার দিন। কিন্তু ভারত ১৯৪৭ সালে সেই আনন্দ সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারেনি। কারণ মানুষের মনের মধ্যে ছিল দেশ বিভাজনের নির্মম ক্ষত। দেশ বিভাজনের ফলে দেশের কোটি কোটি মানুষ বাস্তুহারা হয়েছিল। সেই করুণ ইতিহাস মানুষের মনে রাখার উদ্দেশ্যেই ২০২১ সাল থেকে দেশব্যাপী এই দিবস পালন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার ও অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এম.বি.বি. বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. বিভাস দেব এবং ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন এম.বি.বি. মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. নির্মল ভদ্র। অনুষ্ঠানে হর ঘর তিরঙ্গা অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তিরঙ্গা রঙ্গোলি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.