রাজ্য সরকার নিরলসভাবে কৃষকদের কল্যাণে কাজ করছে : মন্ত্রী রতনলাল নাথ
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ১৪, : কৃষকদের আত্মনির্ভর করতে হবে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার নিরলসভাবে কৃষকদের কল্যাণে কাজ করছে। কৃষকগণ আমাদের খাদ্যের যোগান দেন। তারা কৃষি উৎপাদনের মেরুদন্ড। ১৩ আগস্ট চন্ডিপুর ব্লকের ছনতৈল গ্রাম পঞ্চায়েতে নবনির্মিত কৃষক বন্ধু কেন্দ্রের উদ্বোধন করে একথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ। কৃষক বন্ধু কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮৩ লক্ষ ২৮ হাজার ৪০০ টাকা।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয়জলের সংযোগ বৃদ্ধি, মাছ, মাংস, ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি, পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর যোজনার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প গ্রহণ করলে বিদ্যুৎ বিলের সাশ্রয় হবে। উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করে আয়ও করা যাবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, পূর্বতন সরকার রাজ্যের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বর্তমান সরকার রাজ্যবাসীর সার্বিক কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়া প্রভৃতির কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে ১০ জন কৃষককে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। তাছাড়া কৃষকদের মধ্যে পাওয়ারটিলার সহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সম্পা দাস পাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা দীপক কুমার দাস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জিলা পরিষদের সদস্য বিমল কর, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক ড. তমাল মজুমদার প্রমুখ।
এই অনুষ্ঠানের আগে বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ কৈলাসহরের গৌরনগরে ১৩২ কেভি কৈলাসহর সাবস্টেশন ও ১৩২ কেভি ধর্মনগর সাবস্টেশন থেকে ১৩২ কেভি কৈলাসহর সাবস্টেশন পর্যন্ত ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনের উদ্বোধন করেন। তিনি সাবস্টেশন পরিদর্শন করেন এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জিলা পরিষদের সদস্য বিমল কর, চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সম্পা দাস পাল, জেলাশাসক ড. তমাল মজুমদার, টি.এস.ই.সি.এল.-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ বসু, এ.জি.এম. (ট্রান্সমিশন) টি.পি.টি.এল. নিরুপম গুহ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১৩২ কেভি সাবস্টেশন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন...