বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, আগষ্ট ৮, : রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে বাজার বসে যাচ্ছে। এরফলে ট্রাফিক ব্যবস্থা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। তাই প্রথম থেকেই এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে নজরদারিও বাড়ানো প্রয়োজন। ৭ আগস্ট সচিবালয়ের ভিডিও কনফারেন্স হলে রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যা ও তা নিরসনের উপায় নিয়ে আয়োজিত টাস্ক মনিটরিং সিস্টেমের সভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। সভায় রাজ্যের সবগুলি জেলার জেলাশাসকগণ ভার্চুয়ালি এবং বিভিন্ন দপ্তরের সচিব ও অধিকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাস্তায় ভি.আই.পি. চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক ব্যবস্থা যেন সাধারণ নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই করা হয়। এক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করার কোনও সুযোগ নেই। কারণ সরকারের মূল লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষের সর্বোচ্চ সুবিধা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জেলা ও মহকুমায় কর্মরত কর্মচারিগণকে সময় মতো অফিসে আসতে হবে এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব ও অধিকর্তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আগরতলা পুরনিগম এলাকায় আবর্জনার সমস্যা, সৌন্দর্যায়ন রক্ষা ইত্যাদি করার জন্য টাস্ক ফোর্সের সংখ্যা বাড়াতে তিনি নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনও সমস্যা দূরীকরণের মাধ্যমে রাজ্যের মানুষকে সর্বোচ্চ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোনও বাধা বরদাস্ত করা হবে না। কারণ প্রশাসন আইন অনুযায়ী চলবে।

এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করার উপর জোর দেন। তাছাড়া গাঁজা চাষ, বিক্রি, পাচারের সঙ্গে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যও সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরক্ষা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। তাছাড়া সভায় রাস্তার পরিকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজ্যের বিভিন্ন শহরের যানজটের সমস্যা, আরক্ষা, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশ দেন। সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব হর ঘর তিরঙ্গা অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করেন। ৩টি পর্যায়ে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হর ঘর তিরঙ্গা উৎসব জাতীয় গর্বের প্রতীক। কিন্তু সমস্ত রাজ্যবাসীর সাথে প্রশাসনের সকলকেও এই অনুষ্ঠান উদযাপনে যুক্ত হয়ে আক্ষরিক অর্থেই অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে হবে। তাছাড়া এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বাড়িঘরে এবং বিভিন্ন অফিস আদালতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নীতি নির্দেশিকা পালন করার জন্যও তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.