রাজ্যের প্রত্যেক মহিলার স্বশক্তিকরণ করাই হচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য : হস্ততাঁত মন্ত্ৰী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ৮, : রাজ্যের প্রত্যেক মহিলার স্বশক্তিকরণ করাই হচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য। এজন্য রাজ্যের মহিলাদের আরও বেশি করে হস্তকার, হস্ততাঁত ও রেশম বস্ত্র উৎপাদনে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ৭ আগস্ট পূর্বাশাস্থিত আরবান হাটে ১১তম জাতীয় হস্ততাঁত দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে ৫ দিনব্যাপী আয়োজিত হস্ততাঁত এক্সপো ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হস্ততাঁত, হস্তকা ও রেশম শিল্প মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা একথা বলেন। তিনি বলেন, আগামীদিনে রাজ্যের মহিলাদের এই শিল্পের মাধ্যমে আর্থিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার ভিত্তিকে মজবুত করার জন্য সরকার সর্বাঙ্গীণ সহায়তা করবে। তিনি শিল্পীদের আরও বেশি করে বাঁশবেত, তাঁতবস্ত্র ও রেশম বস্ত্র উৎপাদন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা উৎপাদন বাড়ান, রাজ্য সরকার আপনাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বিক্রয়ের ব্যবস্থা করবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল। বক্তব্যে তিনিও এই শিল্পের বিকাশে গুরুত্বারোপ করেন এবং সকলকে এই হস্ততাঁত শিল্পের বিকাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হস্ততাঁত, হস্তকারু ও রেশম শিল্প দপ্তর অধিকর্তা অজিত শুরুদাস। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন তন্তুবায় সেবাকেন্দ্রের উপঅধিকর্তা অর্ণব চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে এবছরের সেরা ৩ জন হস্ততাঁত শিল্পী, ৩ জন হস্তকারু শিল্পী ও ৩ জন রেশম বস্ত্র উৎপাদন শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়। হস্ততাঁত মন্ত্ৰী বিকাশ দেববর্মা ও অন্যান্য অতিথিগণ তাদের হাতে এই পুরস্কার মূল্য হিসেবে প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকার, দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ৭ হাজার ৫০০ টাকার এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
আরও পড়ুন...