দিয়া চৌধুরীর চিকিৎসার উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ৭, : রাজ্যবাসী রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল হচ্ছেন। রাজ্যেই বর্তমানে বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে। রাজ্য সরকার চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নতিতে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচির ৫১তম পর্বে ৬ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে আসা সাহায্য প্রত্যাশীদের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। সাহায্য প্রত্যাশীগণ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাদের সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন। কিল্লা থেকে আসা বিরু জমাতিয়া শ্রমিকের কাজ করে পরিবার প্রতিপালন করেন। তিনি হঠাৎ স্নায়ু রোগে আক্রান্ত হন। মুখ্যমন্ত্রী তার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখে বিরু জমাতিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন। আনন্দনগরে অৰ্পিতা শীল এসেছিলেন মুখগহ্বরের জটিল সমস্যা নিয়ে। কল্যাণপুরে মৃদুল চক্রবর্তীর ছেলে তার বাবার ক্যান্সারের চিকিৎসার আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রামনগরের মঞ্জু সেন, এডিনগরের রেখা রাণী দাস ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের পরিবারের বিষয়ে অবগত হন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
আগরতলার বড়দোয়ালির দিয়া চৌধুরীর অভিভাবকগণ আসেন শিশু কন্যাটির পায়ের সমস্যার চিকিৎসার আর্জি নিয়ে। জন্ম থেকেই তার পায়ের সমস্যা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিশু কন্যাটির সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে খোঁজ খবর নেন এবং সঙ্গে সঙ্গে জিবি হাসপাতালের সুপারকে শিশু কন্যাটির চিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও বড়দোয়ালির তন্ময় দেব, কমলাসাগরের প্রার্থনা রায়, ফটিকরায়ের মিলন দেববর্মা, অভয়নগরের স্বপন কুমার ভৌমিক প্রমুখ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের সমস্যা সমাধানে আশ্বস্ত করেন।
আজ মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়, জিবি হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তী, অটল বিহারী বাজপেয়ী রিজিওন্যাল ক্যান্সার হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. শিরোমনি দেববর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজ এই কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আগরতলার ছিনাইহানির প্রয়াত সঞ্জিত বিশ্বাসের অভিভাবকদের হাতে এসডিআরএফ ফান্ড থেকে ৪ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই জলে ডুবে সঞ্জিত বিশ্বাসের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন...