শিক্ষাকে সার্বজনীন করার উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করেছে : উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ৬, : একটি দেশের আমূল পরিবর্তন করতে হলে চাই শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। দেশে ২০২০ সালে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রবর্তন করা হয়। আমাদের আশা নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে আগামী দিনে আগামী প্রজন্ম হবে শিক্ষিত ও কর্ম উদ্যোগী। তারা সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না। উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী কিশোর বর্মণ ৫ আগস্ট নরসিংগড়স্থিত ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় শিক্ষানীতির অর্ধ দশক উদযাপন : ত্রিপুরার কারিগরি মহাবিদ্যালয়ে তার পূর্ণতা প্রাপ্তি, বাধা বিপত্তি ও আগামী দিনের লক্ষ্য’ শীর্ষক এক আলোচনাচক্রের উদ্বোধন করে একথা বলেন। আলোচনাচক্রে বিভিন্ন কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাগণ অংশ নেন। ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, টেকনিক্যাল খন্ড এবং অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ যৌথভাবে এই আলোচনাচক্রের আয়োজন করে।
আলোচনাচক্রের উদ্বোধন করে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কিশোর বর্মণ বলেন, সমাজের সকলস্তরের সন্তান যাতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করেন। এর আগে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল বৃটিশ প্রণিত। যা লর্ড ম্যাকলে সাহেব প্রবর্তন করেছিলেন। বৃটিশ প্রণিত শিক্ষা ব্যবস্থায় সবার শিক্ষার সুযোগ ছিল না। স্বাধীনতার ৩৪ বছর পর জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হয়। তিনি বলেন, একটি দেশের আমূল পরিবর্তন করতে চাইলে আগে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এ লক্ষ্যেই জাতীয় শিক্ষানীতিতে ভারত কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা অর্থাৎ মাতৃভাষায়, আঞ্চলিক ভাষায় এবং সংবিধান স্বীকৃত ২২টি ভাষায় শিক্ষা দেবার সংস্থান রাখা হয়েছে। এর সফল বাস্তবায়ণে শিক্ষক, শিক্ষিকা, অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, একটি দেশের জনগণ কতটুকু শিক্ষিত তার উপর সে দেশের উন্নয়নের পরিমাপ নির্ধারিত হয়। শিক্ষাকে সার্বজনীন করার উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করেছে। তিনি বলেন, যতই চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন আমরা জাতীয় শিক্ষানীতিকে এগিয়ে নিতে চাই। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ণে আজ রাজ্য এগিয়ে চলেছে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে ডিজিট্যাল এডুকেশন, ই-ক্লাস, এমওওসিএস, এস ডব্লিও এ ওয়াই এ এম ইত্যাদির অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য ত্রিপুরা পুরস্কৃত হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটিকে ওয়াই ফাই-এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে। আমরা রাজ্যকে এডুকেশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
আলোচনাচক্রে এছাড়া বক্তব্য রাখেন অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘের সভাপতি তীর্থ রাম রিয়াং, ধলাই জেলা পলিটেকনিক কলেজের লেকচারার ড. শণৎ কুমার পাল ও হাঁপানিয়াস্থিত মহিলা পলিটেকনিকের লেকচারার অপূর্ব কুমার সাহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রিন্সিপাল ইনচার্জ বিজয় কুমার উপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে এবিআরএসএম-এর সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ রায় চৌধুরী উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর হাতে একটি ড্রাফট রিপোর্ট তুলে দেন। আলোচনাচক্রের পর উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী এই ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনীয়ারিং সেমিনার হলে এই সংস্থার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিভিন্ন বিভাগের পর্যালোচনা করা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা।
আরও পড়ুন...