Hare to Whatsapp
করোনা কোয়ারেন্টাইনে লুঙ্গি নাচের উদ্দাম ফোয়ারা, নির্বাক প্রশাসন
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ১০, : আমরা এমন এক অভূতপূর্ব রাজ্যে বসবাস করি যে রাজ্যে আমরা হয়ত সবাই রাজার রাজা। এখানে আইন কানুন, বিধিনিষেধ এর তোয়াক্কা খুব কম লোকজনই করে থাকে। নতুবা অতিমারীতে তখন বিশ্বজুড়ে অসম্ভব নীরবতা, চোখেমুখে আতঙ্ক তখন কিভাবে কোয়ারেন্টাইনে সেন্টারে লুঙ্গি নাচের উদ্দাম নাচ চলতে পারে? যে নাচের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল, সে নাচ দেখলে হয়ত মৃত্যু পথযাত্রী ও তেড়েং তেড়েং করে উদ্দাম নাচে পা মেলাবে, কোমড় দোলাবে।
বলছিলাম অদ্ভূত রাজ্যের অদ্ভূত সব আম জনতার কথা। এখানে আমরা অনেক কিছুই মেনে চলি না, চলার প্রয়োজন ও বোধকরি না। এই যেমন আনলকে লকডাউন। সরকার প্রথম থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইছে। এর জন্যেই তো আনলক করে দেয়া হয়েছে। যেমন অটোরিকশা, টমটম চলাচল, বাসগাড়ী চলাচল ইত্যাদি। বলে দেয়া হয়েছে অটোতে দুজন, টমটমে দুজন চলতে পারবে, এর বেশী নয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা? দিব্যি ৩/৪ জন করে যাত্রী উঠানো হচ্ছে। কখনো কখনো ৫/৬ জন ও। কোন নিয়ন্ত্রন নেই, তদারকি নেই। প্রশাসন নির্বাক। ওদেরই একজন বলছিলেন, আরে মশাই করতে দিন।
আমি ব্যবস্হা নিতে গেলে তো ফ্যাসাদে পড়ে যাব। দেবে দামছড়ায় বদলী করে। কি দরকার বলুন? বাড়ীতে আছি, ভাল আছি। এখানে থাকতে গেলে আপনাকে শুধু ক অক্ষর জ্ঞান হীনদের সাথে গলা মিলিয়ে থাকতে হবে। আর রাতে ১/২ ফোঁটা গলায় মালা। জয় শ্রীরাম। রামেদের যুগে এ ভাবেই ভালো আছি। আর কি লাগে?
ঠিক কথা বলেছেন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ নামের বস্তু এখানে শিকেতে উঠেছে। তদারকী তো বলি হারি।
বলি যাবেন কোথায়? সব খানেই যে মিলিঝুলি, বোঝাপড়া আর লেনদেন। তলে তলে চলে লেনদেন। বলি এটা তো বিশ্বজনীন। বিশ্বজনিনতা নিয়েই চলতে হবে। তেমন করোনা নিয়েই আমাদের চলতে হবে, যেমনটা বলছেন গবেষকরা।
কিন্তু সবই ঠিক আছে। বাসে উঠলেই মাথা চক্কর কাটে। সামাজিক দূরত্ব কাড়ে উঠেছে। একজনের উপর আরেকজনকে বসিয়ে দেয়। অল্পবিস্তর কোমলতা তো অনুভূতি আনে।ব্যস এবার চলে যান দুলতে দুলতে খোয়াই,তেলিয়ামুড়া, কমলপুর।
কোথায় করোনা? কোথায় সামাজিক দূরত্ব? কোথায় মাক্স, সেনিটাইজার? কিছুই লাগেনা।
চৌদ্দদেবতার পীঠভূমিতে এলে মনেই হবে না করোনাকে। যদিও করোনা সংক্রমন সামাল দিতে প্রশাসনের কালঘাম ছুটছে।