কৃষকদের কল্যাণে স্বচ্ছতার সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করা রাজ্য সরকারের লক্ষ্য : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, আগষ্ট ৩, : ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে এখন পর্যন্ত রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। সরকারিভাবে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ধানের বিক্রয়মূল্য হিসেবে ৪৪৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সারা রাজ্যে কৃষকদের বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়ার জন্য ২০৪ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য সারা রাজ্যে ১৪৪টি বাজারে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এই কাজে ব্যয় হবে ৩০০ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা। পিএম কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পে কৃষকদের ২০তম কিস্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২ আগস্ট উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বোতাম টিপে পিএম কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পে কৃষকদের ২০তম কিস্তির টাকা প্রদান করেন। এ উপলক্ষ্যে আগরতলার অরুন্ধতিনগরে স্টেট এগ্রিকালচার রিসার্চ স্টেশনে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অংশ নেন।

বারাণসীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের ৯ কোটি ৭০ লক্ষ কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ২০তম কিস্তির মোট ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রদান করেন। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজ্যের ২ লক্ষ ৮৫ হাজার কৃষকের অ্যাকাউন্টে ৪৫ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যে বনাধিকার আইনে পাট্টাপ্রাপ্ত ৭৭ হাজার ১৪৩ জন কৃষকও কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে এই আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে বিভিন্ন প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে রূপায়ণ করা হচ্ছে। ফসল বীমা যোজনায় রাজ্যের কৃষকদের ১০ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ২ হাজার ২৭২ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত ২ লক্ষ ৬ হাজার ৭৪২ জন কৃষককে সয়েল হেলথ কার্ড দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে জৈব চাষেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০ হাজার ১৬১ হেক্টর জমি জৈব চাষের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমান সরকার কৃষকদের কল্যাণে ৪৪টি কৃষি সেক্টর থেকে বাড়িয়ে বর্তমানে ১৩০টি কৃষি সেক্টর করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ক্রপ ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে কৃষকদের বিভিন্ন সহায়তা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হল কৃষকদের কল্যাণে স্বচ্ছতার সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করা। রাজ্য সরকার কৃষকদের পাশে থেকে তাদের সহায়তা করছেন বলেই কৃষকগণও রাজ্য সরকারের পাশে রয়েছেন। প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানীয়জল, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা সব ক্ষেত্রেই রাজ্য বিগত দিনের তুলনায় অনেক উন্নতি করেছে। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা এবং এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের হাতে ৭টি সয়েল হেলথ কার্ড তুলে দেন। তিনি কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের স্টল ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, জিলা পরিষদের কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যানগণ, কৃষি দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা ফণীভূষণ জমাতিয়া এবং উদ্যান দপ্তরের অধিকর্তা দীপক কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.