Hare to Whatsapp
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনা মোকাবেলা প্রয়োজন,অন্যথায় অনেক প্রানঝড়ে যাওয়ার আশঙ্কা
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ৯, : অপ্রত্যাশিত ভাবে ঝড়ে গেল একটি প্রান। মহামারী করোনা ভাইরাস চাচুবাজারের বিশ্বকুমার দেববর্মাকে ছিনিয়ে নিল।অথচ রাজ্যের চিকিৎসকরা তাদের সাধ্য অনুযায়ী পরিষেবা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন এই তথ্য।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস নিত্যদিন ছিনিয়ে নিচ্ছে অসংখ্য প্রান। আমাদের রাজ্যেও বাড়ছে সংক্রমিতদের সংখ্যা।এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।বলা হচ্ছে যারা বাইরের রাজ্য থেকে ফিরে এসেছেন তাঁদের মধ্যেই করোনা সংক্রমন হচ্ছে।অথচ কি ভাবে সংক্রমন হচ্ছে শুধু তাদের মধ্যেই তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে।
বলা হচ্ছে যারা বাইরের রাজ্য থেকে এসে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে। ত্রিপুরা ইনফোতেও এ সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।বলা হয়েছে যারা বাইরের রাজ্য থেকে এসেছে এদের উল্লেখযোগ্য অংশ আগে থেকেই আক্রান্ত ছিল। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে থার্মাল চেকিং এ কেন ধরা পড়েনি? খবর হল শরীরের তাপমাত্রা ধামাচাপা দেয়ার জন্য এঁরা যাত্রার আগেই তেমন ক্যালপল খেয়েছে তেমনি যাত্রাপথেও ক্যালপল. খেয়েছে।ক্যালপল খেলে তো দেহে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।জ্বর বা বেশি ব্যথা বেদনায় চিকিৎসক ক্যালপল দিয়ে থাকে।ক্যালপল খেলে জ্বর চলে যায় এটা সর্বজনবিদিত তথ্য। এক্ষেত্রে বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, চেন্নাই থেকে এসেছে তাদের মধ্যেই বেশী সংক্রমন সনাক্ত হচ্ছে বলে তথ্য। এদের ভীড়েই তো কোভিড সেন্টার গুলি পরিপূর্ণ। রোগীর স্হান সংকুলান হচ্ছে না।রাজ্য সরকার কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বেশ কয়েকটি কোভিড সেন্টার তেমন করেছে তেমনি হোম কোয়েরানটাইও রয়েছেন অনেক। বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছে তাদের সব কজন সিপার্ডে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্য সরকার কোন ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। ভাল সিদ্ধান্ত। রাজ্য সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে কোন প্রশ্নই উঠেনা।
যদিও কোভিড সেন্টারগুলির ব্যবস্হাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, উঠছে অভিযোগ। খাবারের গুনমান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সম্ভবত রাজ্য সরকার এখন প্রতিকারে ব্যবস্হা নিয়েছে।
এখন পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তা মোকাবেলা বা করোনা চিকিৎসায় সরকারের আরো আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।