Hare to Whatsapp
ফের গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত ত্রিপুরা কংগ্রেস
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ৮, : প্রদেশ কংগ্রেসের ঘরে লেগেছে আগুন। বিদ্রোহের এই টালমাটাল পরিস্হিতিতে অনেকেই দেখে যাও নীতি অবলম্বন করেছে। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করেই কংগ্রেস ছাড়লেন সুখময় সাহা।সজ্জ্বন বলে পরিচিত সুখময় সাহা মূলতঃ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহার অনুসারী। মূলতঃ বীরজিৎ সিনহা তাকে যুব কংগ্রেসের সভাপতি করেন। দীর্ঘদিন এই পদে বৃত ছিল সুখময়। কিন্তু সাংগঠনিক সাফল্য বলতে কিছুই ছিল না। পরবর্তী সময়ে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। তখন বীরজিৎ সিনহার বাড়ীতে দুবেলাই যাওয়া আসা করতেন। এছাড়া তাঁর অন্যকোন তৎপরতা ছিল না, বা থাকলেও কারো নজরে আসেনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো সুখময় সাহা হঠাৎ করে কংগ্রেস ছাড়লেন কেন ? বা বিজেপিতে যোগ দিলেন কেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর সুখময় সাহাই দিতে পারবে, অন্যরা নয়। তবে এডিসি ভোটের আগে সুখময়ের কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া বিজেপির প্রচারনার জন্য সাফল্য হতে পারে।
অন্যদিকে পিঠ ঠেকে যাওয়া কংগ্রেসকে আরো হয়তো কোনঠাসা করে দিতে পারে।তবে রাজনীতি কখন কিরুপ নেয় তা বলা খুবই মুশকিল। কারন রাজনীতি নিয়ে আগাম মন্তব্য করা মুর্খামীর সামিল।
এদিকে সুখময়ের পদত্যাগের ধাক্কা সামাল দিতে ব্যতিব্যস্ত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এখন চোখেমুখে সর্ষে ফুল দেখছে। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব দুজনকে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। যাদের বহিস্কার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে একজন হলেন প্রশান্ত ভট্টাচার্য। কোন একটি স্হানীয় ক্যাবল চ্যানেলের সাথে যুক্ত।
লক্ষনীয় প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাবেক বিরোধী দলনেতা কিন্তু কংগ্রেসের আভ্যন্তরীন গোষ্ঠী কোন্দলের মধ্যে নেই। তবে সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক গত ক'দিন ধরে চুপ মেরে আছেন। তাঁর আগের মত তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
তবে কংগ্রেসের আভ্যন্তরীন গোষ্ঠী কোন্দল আগামীতে জোরদার হবে।কারন সামনেই এডিসি নির্বাচন।