Hare to Whatsapp
কিটের কৃত্রিম সংকটে সুগার, কিডনি রোগীরা সংকটে, নিষ্ক্রিয় দপ্তর
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ৩, : দীর্ঘ দিন বাদেও রাজ্য সরকার এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি জীবনদায়ী ঔষুধ ও সংশ্লিষ্ট রোগ নির্ণয় কারী পন্যাদি। লকডাউন আংশিক উঠে যাওয়ার পরও মেডিসিন ষ্টোর গুলিতে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে নানা রোগে জর্জরিতদের। এ ষ্টোর থেকে ও ষ্টোর । সকাল সন্ধ্যায় ঘুরে বেড়ানো হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্যদিনের কাজ। অথচ সরকার সব জেনেও চুপ, চুপ স্বাস্হ্য দপ্তরও।
লকডাউনের পর শুরু হয়েছে আনলক। প্রায় তিন দিন হতে চলেছে। অথচ না আছে রক্ত শর্করা নির্নয়কারী ষ্ট্রীপ। দশ,পনের, পঁচিশ,পঞ্চাশটি ষ্ট্রীপের প্যাকেট থাকে। গোটা রাজধানীতে পাওয়া যায়না এগুলি। কেন নেই জানতে চাইলে উত্তর সাপ্লাই নেই। এদের এই সাফাই ঠুনকো। আসলে এরা চড়া দামে বিক্রি করছে এগুলি।
ওয়ান টাচ ষ্ট্রীপ ছাড়া ও পাবেন না সার্জিক্যাল স্পিরিট। সুগার টেষ্টের পরপর এই স্পিরিট লাগে রক্ত বন্ধ করা বা পরিষ্কার করার জন্য। না এটা থেকেও নেই। কেন নেই প্রশ্নে উওর সাপ্লাই নেই। ইনসুলিন প্যানের ক্ষেত্রে ও একই কথা। তো সুগারের রোগী যাবে কোথায়? ভয়ংকর ব্যাধি সুগার। শতকরা ৭০ জন এতে ভুগছে। এমনিতেই সুগারের রোগীরা নানা ভাবে দূর্বল। টাইপ টু রোগীদের সুগার দশ বছর থাকলে কিডনিতে এফেক্ট হয়, চোখের ভয়ংকর সমস্যা হয়।
অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রটি উপেক্ষিত। রাজ্য সরকার জেনেও না জানার ভান করে আছে, বুঝেও না বোঝার ভান করে আছে। কেন এমনটা হবে। অথচ স্বাস্হ্য পরিষেবা বিপন্ন। চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া এখন অনেকটাই কঠিন। করোনা ওয়ার্ড হওয়াতে এজিএমসিতে অনেকেই যাচ্ছে না। ভয় আর আতঙ্কই মূল কারন।
অন্যান্য জীবনদায়ী ঔষুধেরও সঙ্কট। কালোবাজারী চলছে এগুলো নিয়ে। মূলতঃ সুগার, প্রেসার, কিডনি, সর্দি, কাশী, জ্বরের ঔষুধ তো করোনার বদান্যতায় থেকে ও দূষ্প্রাপ্য। অথচ এই সময় অল্পবিস্তর সর্দি, হালকা কাশি হয়ে থাকেই। আর চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ এসব লক্ষণ দেখলেই ফ্লু ক্লিনিকে রেফার করে দিচ্ছে। ফ্লু ক্লিনিক মানেই করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র। আর করোনা নাম শুনলেই প্রান বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া যেভাবে গ্রাফ করে করোনা রোগী, চিকিৎসা দেখাচ্ছে তাতেই আতঙ্ক বিস্তার হয়েছে। এক্ষনে আতংক দূর করার জন্য সরকারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় বেশীরভাগই লক্ষন বা উপসর্গ থাকলেও তা চাপিয়েই যাবে এবং এটাই স্বাভাবিক।