Hare to Whatsapp
লকডাউনেও আইনের নামে বেআইনি কাজ, চূড়ান্ত হেনস্থা শিক্ষক শিক্ষিকাদের
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ৩১, : এ রাজ্যে শিক্ষার নামে যেমন খুশি তেমন চলছে। শিক্ষকদের অভিযোগ অনুসারে দপ্তরে তো একনায়কতন্ত্র চলছে। মন্ত্রী বাহাদুর অনেক সময় তা বলেন না বা নির্দেশ দেন না তাই মন্ত্রীর নামে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এখন করোনা মহামারী জনিত কারনে লকডাউন চলছে। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব বন্ধ। ৩১ শে জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কিন্তু ব্যতিক্রম বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর। এবং আরো বেশি ব্যতিক্রম রানীরগাও বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিভাগে তো তথাকথিত দুএকজনের কথা অনুযায়ী শিক্ষক শিক্ষিকাদের উঠবস করতে হচ্ছে। যখন খুশী তখন এদের বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে পড়ূয়াদের বাড়ী বাড়ী। অথচ এখন লকডাউন। বলে দেয়া হচ্ছে পড়ূয়াদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ওদের পঠনপাঠনের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে। অস্বীকার করলে উপস্হিতির খাতায় অনুপস্থিতি দেখানো হচ্ছে। অথচ এরা কিন্তু স্কুলেই। একে ওকে বলে খূজে বের করতেই হচ্ছে পড়ূয়াদের বাড়ী। বাড়ীতে গেলেও বিপদ। বাড়ী ডুকতেই দেয়া হচ্ছে না। এটাই স্বাভাবিক। কারন এখন তো লকডাউন। ওরা আর কি করবেন। গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে নানা কিছু জেনে পড়ুয়াদের স্বাক্ষর নিয়ে ফিরে আসতে হয় স্কুলে। রিপোর্ট জমা দিয়েও ওরা রেহাই পাননা। ঠায় ওদের বসিয়ে রাখা হয় বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। সকাল ৮ টায় গিয়ে দিনভর এ পাড়া ও পাড়া ঘুরে তথ্যতল্লাস করে রিপোর্ট জমা দিয়ে বসে থাকো ৪টে পর্যন্ত? অদ্ভুত এবং অভাবিত অবস্হা।
সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে এ সব কাজ চালাচ্ছে ওরা।মানে নেতারা। যারা এসব করাচ্ছেন তাঁরা আবার সন্ধ্যায় শনিতলায় আসেন। কেন আসেন তাঁরাই বলতে পারবেন।
এ অব্যবস্হার কথা এই দুদিন আগেও ইনফোতে খবর হয়েছিল। কিন্তু কোন ব্যবস্হা নেই, প্রতি কারন জানা তো দূরের কথা। গতকালও চারজন দিদিমনি পাড়ার আইল ধরে ধরে দিনভর পড়ূয়াদের বাড়ী যেতে হয়েছে। সন্ধ্যায় এরা বাড়ী ফিরে আসে। কিন্তু প্রশ্ন এ ধরনের বেআইনি কাজ কিভাবে হচ্ছে? দপ্তরের মন্ত্রী নীরব, মূখ্যমন্ত্রীও নীরব। তার অর্থ তো এই এধরনের কাজে এদের মদত রয়েছে। যদি না থাকে তাহলে অন্যান্য স্কুলে কেন এমন হবে না? চেষ্টা হয়েছিল, সম্মিলিত প্রতিবাদেরর। কিন্তু বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।