Hare to Whatsapp
শিক্ষা দফতর নিজেই লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করছে, শিক্ষক শিক্ষিকাদের পড়ুয়াদের বাড়ী বাড়ী পাঠানো হচ্ছে
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ২৯, : এই লকডাউনের মধ্যেই বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করছে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এদের পড়ুয়াদের বাড়ী বাড়ী পাঠাতে শুরু করেছে।
সদরের জিরানীয়া অঞ্চলের দু-একটি প্রাইমারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিক্ষক, শিক্ষিকাদের এই মর্মে হুলিয়া জারী করেছেন যে তাদের সবাইকে পালা করে পড়ুয়াদে্র বাড়ী বাড়ী যেতে হবে এবং নানা খোঁজ খবর নিতে হবে। যথারীতি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা গতকাল স্কুলে ছুটে যান। তাদের বলা হয় পড়ুয়াদের বাড়ী বাড়ী যেতে। শুধু বাড়ী যাওয়াই নয় এদের জানতে হবে পড়ুয়ারা বই পুস্তক পেয়েছে কিনা? পেয়ে থাকলে এরা পড়াশোনা করছে কিনা? শুধু তাই নয় কি কি পড়েছে তাও জানতে হবে।
যথারীতি শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুলে যান,জমির আইল ধরে ছুটতে হয় পড়ুয়াদের বাড়ী বাড়ী। খোঁজে বের করতে হয় এদের বাড়ীঘর। দিন ভর এদের তাই করতে হয়। বিকালে স্কুলে এসে রিপোর্ট জমা দিয়ে এদের বাড়ী ফিরে আসতে হয়।
লকডাউনে কি ভাবে এদের পড়ুয়াদের বাড়ী বাড়ী পাঠানো হলো? এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যেও যথেষ্ট ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বড় প্রশ্ন হল লকডাউনের মধ্যে কিভাবে এদের পাঠানো হল? এঁরা তো পড়ূয়াদের বাড়ী চেনেন না। চেনার প্রশ্ন ও উঠে না। অবাক করার ঘটনা অফিসিয়াল কোন নির্দেশ ও এদের দেয়া হয়নি। শিক্ষিকারা প্রচন্ড কষ্ট করে পড়ুয়াদের বাড়ী যাওয়াই শেষ নয়। প্রত্যেকের বাড়ীর গেইট বন্ধ। ডেকে ডেকে এদের দম বন্ধ হবার উপক্রম। প্রকাশ,কয়েকজন অভিভাবক কৈফিয়ত ও তলব করেন লকডাউনের মধ্যে এঁরা কিভাবে এলেন? কোন উত্তর এরা দিতে পারেনি। রানীর গাঁও স্কুলের প্রাইমারি বিভাগের ক্ষেত্রে এই ঘটনা বেশী ভাবে ঘটেছে।
আরো ঘটনা প্রায় সময়ই শিক্ষক শিক্ষিকাদের লকডাউনের মধ্যেই ফোন করে স্কুলে ডেকে নেওয়া হচ্ছে। এদের দিয়ে করনিকের কাজ করানো হচ্ছে। এক কাজ ২/৩ বার করানো হচ্ছে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা কোথায় যাবে,কাকে বলবে তাদের দুর্ভোগের কথা?
কিন্তু বড় প্রশ্ন হল শিক্ষা দপ্তর কিভাবে লকডাউনের বিধি ভঙ্গ করছে? তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলে দপ্তর কি জবাব দেবে? এই বিষয়টি নিয়ে এখন প্রচন্ড আলোচনা হচ্ছে এবং বিতর্কের তীড় যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রীর দিকে।
এখন লকডাউন, স্কুল বন্ধ। এই অবস্থায় তো এধরনের বেআইনি নির্দেশনা কাম্য নয়।