Hare to Whatsapp
তীর্থমুখ পৌষ সংক্রান্তি মেলা উদ্বোধনে গিয়ে স্ত্রিকে সাথে নিয়ে ডুম্বুরের জলে স্নান করলেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব । জানুয়ারী ১৪ ২০২০
By Our Correspondent
আগরতলা, জানুয়ারি ১৪, : আগরতলা, ১৪ জানুয়ারিঃ
চিরাচরিত ঐতিহ্য মেনে মঙ্গলবার থেকে গোমতী জেলার করবুক মহকুমায় শুরু হলো দুই দিন ব্যাপী তীর্থমুখ পৌষ সংক্রান্তি মেলা। এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব। এর আগে পুণ্য স্নান করে তিনি পূজার্চনা করেন।
মেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "নতুন সরকার শুধু সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিস্তারই নয়, জনজাতিদের সামগ্রিক বিকাশে সক্রিয়। ২৫ বছরে জনজাতি এলাকায় মাত্র চারটি একলব্য বিদ্যালয় ছিল। আর এই নতুন সরকারের সময়ে ১৮ টি একলব্য বিদ্যালয় নিয়ে এসেছে। এটাই হচ্ছে পরিবর্তন।"
তিনি বলেন "এডিসিকে শক্তিশালী করার জন্য ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ৭ হাজার কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক মঞ্জুরি চাওয়া হয়েছে। ৪২ টি দপ্তরকে এডিসির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব ত্রিপুরা সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়েছে।"
তিনি বলেন,"বিভিন্ন জায়গার নাম, কোনো এক সময়ে পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছিল। সেগুলি পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। কারণ এই নামগুলোর সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে। ৪০ বছর যাবৎ এই নামগুলিকে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। এই সরকার আবার সেই নাম গুলিকে খুঁজে বের করবে। ত্রিপুরার মানুষ যেটা চাইছিল, সেটাই হবে ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ। "
অনুষ্ঠানে এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন "মকর সংক্রান্তি শুধু ত্রিপুরার নয়, গোটা দেশে বিভিন্ন নামে উদযাপিত হয়। এটাই হচ্ছে ভারতবর্ষের শক্তি। এগুলি যতদিন পর্যন্ত এই ভূমির মধ্যে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত কোন শক্তি ভারতকে পরাজিত করতে পারবে না। "
তিনি বলেন "এ রাজ্যেও দীর্ঘদিন বিদেশি মানসিকতাসম্পন্ন পার্টির রাজ ছিল। তারাও চেষ্টা করেছিল ত্রিপুরার ইতিহাস যাতে ত্রিপুরার মানুষ ভুলে যায়। তার জন্য মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের নাম না জানানো, তাঁর কৃতিত্ব কে না জানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আর নতুন সরকার এসেই আগরতলা বিমানবন্দরের নাম মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের নামে করে দেয়া হয়েছে। এটা নেহাতই ছোট কাজ ছিলনা। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। আগের কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত করে গিয়েছিল যে, নতুন করে কোনো বিমানবন্দরের নাম, কোনো ব্যক্তির নামে হবে না। নরেন্দ্র ভাই মোদি সরকারে এসে সেই সিদ্ধান্ত সংশোধন করে, আগরতলা বিমানবন্দরের নামকরণ করেছেন মহারাজা বীর বিক্রমের নামে। এখন বিমানবন্দরে অবতরণ করলেই গর্ববোধ করি। এটাই হচ্ছে পরিবর্তন।"
এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ডঃ মহেন্দ্র সিং, উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, পর্যটন মন্ত্রী শ্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় সহ অন্যান্যরা। উদ্বোধনী দিনেই তীর্থমুখ মেলা প্রাঙ্গণে জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।