Hare to Whatsapp
রাজ্য সরকার এখনই কঠোর না হলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে, হোম কোয়ারেইন্টের কোন শর্তই মানা হচ্ছেনা
By Our Correspondent
আগরতলা, ২৫ , : ১ থেকে পজিটিভ ১৯১। কিন্তু ভালো হয়েছেন ১৬৫। তাও বলবো মারাত্মক ব্যাপার। এবং উদ্বেগজনক ও বটে। ৪০ লক্ষাধিক লোকের রাজ্যে এখনো চিকিৎসাধীন করোনা পজিটিভ ২৬। পরিস্থিতি যা এখানেই সংখ্যা থেমে থাকবে তা বলা মুশকিল। তবে আশঙ্কা করা যেতেই পারে যেখানে এক থেকে বেড়ে ১৯১ হয়ে যায় সেখানে তা হয়তো গিয়ে দাঁড়াতে পারে দ্বিগুণ বা তিন গুণ। তবে এমনটা না হোক সেটা সবাই চায়। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব তো সংখ্যা টেনে নামানোর জন্য বদ্ধপরিকর বলে পারিপার্শ্বিক তথ্য ব্যবস্হাপনা বলছে। রাজ্যের সর্বত্র কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কমিটি কী নজরদারী করছে? পরীক্ষা শুরু হয়েছে। অব্যাহত এই পরীক্ষা। তবে পরীক্ষার গুনমান নিয়েও অভিযোগ উঠেছে।
এটা খুবই দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক যে স্রেফ রাজ্য সরকারের অনুসৃত নীতির খেসারতে করোনা পজিটিভের সংখ্যা ১৯১ এ দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে দুদিন তিন দিনের মধ্যে কি ভাবে সংখ্যা রকেট গতিতে ১৯১ এ পৌঁছে গেল? যেখানে রাজ্যে সংখ্যা ছিল ১ সেখানে হঠাৎ করেই ১৯১। এবং এটাও ঠিক এই সংখ্যা 191 থেকে অনেক বেশি হবে। ভাল করে খোঁজ খবর নিলেই আসল তথ্য বেড়িয়ে আসবে বা প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।প্রকৃত তথ্য খুবই জরুরি। জরুরী রাজ্যবাসীর স্বার্থে এবং সর্বোপরি রাজ্যের স্বার্থে। কেননা তথ্য অনেকেই গোপন করে রাখতে চান।
রবিবার কথা হচ্ছিল রাজ্যের শাসক দলীয় এক বিধায়কের সাথে। প্রবীন বিধায়ক তিনি পাহাড়ের হাড়ির খবর রাখেন বেশ ভালো করেই। তিনি যা বললেন তাতে রক্ত হিম হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
প্রবীন শাসক দলীয় বিধায়ক জানালেন উনার নির্বাচন কেন্দ্রেও হোম কোয়েরানটাইনে রয়েছেন বেশ কিছু সংখ্যক যুবক যুবতী। এঁরা মুম্বাই, পুনে, চেন্নাই তে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু বাড়ী ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। এখানে আসার পর এদের হোম কোয়ারানটাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। ব্যস, এবার এরা বাড়ী গিয়ে মনের সুখে গ্রামে ঘুরেফিরে বেড়িয়েছে, এখানে সেখানে গেছে, এখনও যাচ্ছে। এমন কি ভলিবল, ফুটবলও নাকি খেলছে। নদীতে গা ডুবিয়ে সাঁতার কাটছে। পরিবার পরিজনের কথাতো বাদই দেয়া হল।
বিপজ্জনক ব্যাপার এবং ভয়াবহ। এই অবস্থায় নিশ্চিত ভাবেই আরো অনেকেই সংক্রমিত হয়ে গেছেন। অথচ এদের যদি কোয়ারেনটাইন সেন্টারে রাখা হত তাহলে তো সংক্রমনের সুযোগ থাকত না। এই যে পরিস্থিতি বা ব্যবস্হা তাকে এক কথায় যদি বলা হয় কোভিড ১৯ মোকাবেলার নামে অব্যবস্হা তা হলে কি ভুল বলা হবে?
আরো স্পরশকাতর হল কোভিড সম্পর্ক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বহু লক্ষ টাকার পোষ্টার ছাপা হয়েছে বা ছাপা চলছে বাংলা ও ককবরকে। অভিযোগ একটির ক্ষেত্রেও নিয়মনীতি মানা হয়নি, টেন্ডারও ডাকা হয়নি। ১/২ হাজার ছেপে ১০ হাজার পোষ্টারের বিল। এক একজন শুধু পোষ্টার ছাপার নামে নিত্যদিন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আই সি এ, এন এইচ এম ও পরিবার কল্যান দপ্তরের অফিসার যারা আছে তাদেরও পকেট ভারী হচ্ছে পোষ্টার ছাপানো সহ নানা কাজের নাম করে। এগুলির অবিলম্বে তদন্ত প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের স্বার্থেই প্রয়োজন।
এক শ্রেণীর অসাধু অফিসার, ব্যবসায়ী আগেও ছিলেন এখনও আছেন, যারা দূ্রযোগ, বিপর্যয় এর সময় লাখো লাখো সরকারী অর্থ নিজেদের পকেটে ঢুকিয় নেন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এরা শিবির তৈরি, রেশন সরবরাহ করে এখানে ওখানে ইমারত গড়েছেন। এদের বংশধররাই এখন মহামারীর সময়ে অর্থ আত্মসাৎ করে চলেছে একই ভাবে। অনেকেই বলছেন
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আন্তরিক মহামারী মোকাবিলার চেষ্টা করছেন। তার সাথে আছেন উপমুখ্য মন্ত্রী এবং মন্ত্রী রতনলাল নাথ। প্রশ্ন উঠেছে বাকিরা কই? বহু এম এল এ তাদের দায়িত্ব পালন করছেনা এমন অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সবকিছু দেখা বা তদারকী করা দুই তিন জন মন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়। আর এটাকে পূজি করে দূষ্টচক্র মোটা অর্থ বাগিয়ে নিচ্ছেন বলে বিস্তর অভিযোগ। তাই দাবী উঠেছে এখন সম্ভনা না হলেও পরে অন্তত এসবের একটা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।