Hare to Whatsapp
করোনা নিয়ে সংবাদ করায় মিয়ানমারে সম্পাদকের ২বছর কারাদণ্ড
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ২২, : বিশ্বের বহু দেশেই সাংবাদিকতা পেশা বিপজ্জনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। সে সব দেশে অনিশ্চয়তা এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয়। কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত চীনের আভ্যন্তরীন খবর আনতে বিদেশি সাংবাদিকদের রীতিমতো গেরিলা যুদ্ধের ধাঁচে কাজ করতে হয়। আবার মুক্ত গনতন্ত্রের দেশেও কোন কোন অঞ্চলে সাংবাদিকতা কঠোর অন্তরায়ের সামিল।
বলা হয়ে থাকে মিয়ানমার মুক্ত গনতন্ত্রের দেশ। যদিও ও দেশে কি চলছে বা হচ্ছে তা বোঝা মুশকিল। করোনা সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশ করায় এক সম্পাদককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ওই সম্পাদককে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৩ ই মে দায়ে পিয়াও সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক জ ইয়ে হতেতকে কে গ্রেফতার করা হয়। গত ১২ই মে এক সংবাদে বলা হয় পূর্ব কারেনে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সংবাদকে ভূয়ো বলে দাবী করে পরদিনই অর্থাৎ ১৩ ই মে জ ইয়ে হতেতকে গ্রেপ্তার করে। শুধু তাই নয় গ্রেফতার করার সাতদিনের মাথায় তাঁকে আদালতে হাজির করা হয় এবং আদালত তার দুবছরের কারাদণ্ড দেয়। জ ইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন ৫০৫ র বি ধারায় এই কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
৫০৫ বি ধারা মিয়ানমারে কালো বা কুখ্যাত আইন বলে পরিচিত। সাধারনত সাংবাদিক ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়। এক্ষেত্রে ও তাই করা হয়েছে।
সম্প্রতি মিয়ানমার কতৃপক্ষ সবাই কে সতর্ক করে দিয়েছে যে করোনা নিয়ে বিভ্রান্তি কর প্রচারনা করলে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। সম্প্রতি মিয়ানমার সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে আরো একটি নুতন আইন প্রনয়ন করেছে।এটি জনসাধারণ আতংকের কারন বলে মনে করছেন।এই আইন সাংবাদিকদের অপরাধী হিসেবে দেখানো সহজ করে তুলছে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিয়ে সংবাদ করায় রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া শোন এবং কিয়াও সো ওও কে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ সতের মাস বাদে তাদের বিচার করা হয় এবং সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু জ ইয়ে হতেতকে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের মাথায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মিয়ানমারে গনতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ উত্থাপন করেছে।