রাজ্যের ৭৬টি জায়গায় বন্যা এবং ভূমিষ্বস মোকাবিলা বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ১০, : ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এমডিএমএ)-র সহায়তায় এবং দি ত্রিপুরা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির উদ্যোগে ৯ জুলাই সমগ্র রাজ্যে বন্যা এবং ভূমিধস মোকাবিলা বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ডিস্ট্রিক্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (ডিডিএমএ) সঙ্গে সম্পর্ক রেখে রাজ্যের রাজস্ব দপ্তর এই মহড়া পরিচালনা করে। রাজ্যের ৭৬টি জায়গায় একই সঙ্গে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের শহর এবং গ্রামঞ্চলের নিম্নাঞ্চল, হাসপাতাল, ভূমিধস প্রবণ এলাকা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো স্থলে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী অংশগ্রহণ করে। বন্যা ও ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে কিভাবে দুর্গতদের উদ্ধার করা হবে তা এই মহড়ায় তুলে ধরা হয়। বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ইন্সিডেন্ট রেসপন্স সিস্টেম (আইআরএস), এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, সেনা, আসাম রাইফেলস, বিএসএফ, সিআরপিএফ-র আধিকারিক ও জওয়ানগণ, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মচারিগণ, ওএনজিসি, গেইল, নেপকো, টিএনজিসিএল, ওটিপিসি-র মতো পাবলিক সেক্টর আন্ডার টেকিং-এর প্রতিনিধিগণ, অসামরিক প্রতিরক্ষা, আপদা মিত্র, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবকগণ এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন। একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে এই মহড়া প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।
এই মহড়ার মাধ্যমে রাজ্য এবং জেলা পর্যায়ের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (ইওসি)-গুলির কার্যকরিতা খতিয়ে দেখা হয়। প্রত্যেক জায়গায় ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম জরুরী পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আইআরএস-র পরিকাঠামোকে সক্রিয় করে তোলে। পর্যবেক্ষকগণ মহড়ার এই পর্ব খতিয়ে দেখেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গার চিত্র সরাসরি দেখানো হয়। মহড়া চলাকালীন সময়ে রাজ্যের রিলিফ কমিশনার এবং ইন্সিডেন্ট কমান্ডার ব্রিজেশ পান্ডে স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এসইওসি) ঘুরে দেখেন। বাস্তবিক অর্থেই এরকম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হলে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যে যাতে গতি আনা যায় সেজন্য তিনি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। দুপুর ১২টায় এসইওসি গুলিতে মহড়া পরবর্তী আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এগুলিতে মহড়ায় অংশ নেওয়া দপ্তর ও সংস্থাগুলির জেলা পর্যায়ের আধিকারিকগণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যে আরও কিভাবে গতি আনা যায় সেবিষয়ে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন। আলোচনা থেকে এধরণের সর্বাত্মক মহড়া নিয়মিতভাবে করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। শুধু বন্যা ও ভূমিধস নয় ভূ-কম্পনের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবার মতো বিষয়ে জনসাধারণকে আরও বেশি সচেতন করে তোলার প্রয়োজনীয়তাও এই আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে।
রাজস্ব দপ্তরের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন...