Hare to Whatsapp
নেশা মুক্ত ত্রিপুরা অভিযানের কথা বলে লকডাউনের মধ্যেই চলছে মদের লাইসেন্স বিলির টেন্ডার, চলছে বিরোধিতাও
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ২১, : গোটা পৃথিবী যখন করোনা তান্ডবে লন্ডভন্ড, হাজার হাজার লোকের প্রান কেড়ে নিচ্ছে করোনা, বিশ্ব যখন প্রায় ঘড়বন্দী ঠিক তখন পান্ডব বর্জিত রাজ্যে দেশী, বিলেতি মদের লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে চলছে দৌড়ঝাপ। প্রায়দিন প্রভাতী সংবাদপত্রে দেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞাপন। একদিকে টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে দৌড়ঝাপ, অন্যদিকে জনশ্রুতি অনুযায়ী কাটমানি নিয়ে দরকষাকষি, অনুরোধ উপরোধ।
বিলেতী আর দেশীয় মদের কাউন্টার বা লাইসেন্স দেওয়া হয়ে থাকে সবসময়ই। এতে নুতনত্ব বলতে কিছুই নেই। তবে আছে ডাক। ডাক মানে লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি। প্রতি বছরই বাড়ছে এই লাইসেন্স ফি। নুতন নুতন লাইসেন্সও দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বহু জায়গাতে প্রতিবাদ বিক্ষোভও রয়েছে। এখনো হচ্ছে প্রতিবাদ। দশদায় তো মহিলারা প্রতিবাদে এগিয়ে আছেন। এমন বিক্ষোভ হচ্ছে জম্পুইজলা, বক্সনগর সহ বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু হলে কি হবে? সরকারের বক্তব্য একটাই রাজ্যের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন এফ এল শপ বৃদ্ধি। অথচ নেশামুক্ত ত্রিপুরার শ্লোগানও জিইয়ে রাখা হয়েছে।
জানাগেছে, বিলোনিয়ার এক ভদ্রলোক এককোটিরও বেশী দিয়ে একবছরের জন্য লাইসেন্স নিয়েছেন। মহারাজগঞ্জ, কামান চৌমুহনী, সোনামুড়া, মেলাঘরে, কৈলাশহরে -এর টেন্ডার ফি নাকি আরো অনেক বেশি। লকডাউনের মধ্যেই রাজ্য সরকার বারবার বিজ্ঞাপন দিয়ে চলছে। বারংবার টেন্ডার দিয়ে সরকার টেন্ডার ফি বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল গোটা রাজ্য যেখানে করোনা নিয়ে লড়াই চলছে সেখানে কেন এক্ষনে এফ এল সপের লাইসেন্স নিয়ে এই তৎপরতা? সরকার বলছে এটা তো প্রক্রিয়া। তবে রাজধানীতে এখন হাত বাড়ালেই মদের দোকান যেখানে আগে ছিল ৩/৪ টি। এখন তো কয়েক গুন বাড়িয়ে দেওয়া হলো। তাহলে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা অভিযানের কথা বলার কি মানে রয়েছে এই প্রশ্ন উঠা তো স্বাভাবিক।