Hare to Whatsapp
মহারাজগঞ্জ বাজারের পাইকারী কিছু ব্যবসায়ী দু'হাতে মুনাফা লুটছেন, সরিষার তেল লিটারে কুড়ি টাকা বেড়েছে
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ১৮, : ত্রিপুরায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রীর লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি হয়ে চলেছে। গত ৩/৪ দিনে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। গত কদিনে হঠাৎ করেই মূল্যবৃদ্ধির পারদ চড়ছে। রাজধানী আগরতলার বাজারগুলিতে প্রতিব্যাগ চালের দাম বেড়েছে গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। কেন এই বৃদ্ধি তার কোন জবাব নেই। শুধু একটিই জবাব নিলে নিন, না হলে অন্য দোকানে যান। সব দোকানেই এক উওর। মুসুর ডালও কেজি প্রতি ১৫/২০ টাকা বেড়েছে। তেমনি চিড়া, গুড়, মুড়িতে কিলো প্রতি গড়ে ২০ টাকা মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। চিপসের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। অনেক খুচরো দোকানী বাধ্য হয়ে অল্প পরিমানে জিনিস আনছেন। গলাকাটা বাজার বলে সাধারন্যে পরিচিত হয়ে গেছে মহারাজগঞ্জ বাজারে। খুচরো ব্যবসায়ীরা বলছেন পাইকারী কিছু ব্যবসায়ী দু হাতে মুনাফা লুটছেন। সরিষার তেল প্রতি লিটার কুড়ি টাকা বেড়েছে। তবে গতকাল লকডাউন আরো বাড়ানোর পর জিনিসপত্রের দামের বাজারে আগুন লেগেছে।
কিন্তু এই মূল্য বৃদ্ধির দিকে প্রশাসনের কোন নজর নেই। নেই নজরদারি। আছে শুধু কাটমানি ও টু পাইস কামানোর ধান্ধা। অভিযোগ অন্তত এমনটাই।
শাকসবজির বাজারেও আগুনের স্যাকা। ঝিঙে যেখানে গ্রামীন বাজারে কৃষকরা কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৭ টাকা বিক্রি করতে বাধ্য হন সেখানে রাজধানীর বাজারে ৩০/৪০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করছে। অন্যান্য শাকসবজির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কৃষকদের জলের দরে বিক্রি করতে হচ্ছে । আর মাঝখানে মুনাফা লুটছেন সবজী বিক্রেতারা। অথচ সরকার ইচ্ছে করলে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সবজি ক্রয় করতে পারে। সেই সবজি এপেক্স -এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারে। এখন রাজধানীতে এপেক্স কুমড়ো বিক্রি করছে তাদের কাউন্টারে। কিন্তু এখানেও দুনম্বরি। যোগসাজশে স্হানীয় পাইকাররা সব কুমড়ো এপেক্স থেকে ক্রয় করে নিচ্ছে।
এ এক অদ্ভুত বিড়ম্বনা। দু নম্বরীতে ছেয়ে যাচ্ছে সর্বত্র। এই অবস্থা কেন তা বলতে পারবে সরকার বা প্রশাসন। তদারকী ও নজরদারি ব্যবস্হা মজবুত করলে সাধারন মানুষ একটু নিস্তার পেতে পারেন।