Hare to Whatsapp
জমি মাফিয়াদের পায়তারায় উদ্বেগ বাড়ছে
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ১৬, : এখনও বিশ্বজুড়ে লকডাউন। রাজ্যেও লকডাউন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। জীবন থমকে থমকে অল্পবিস্তর চলতে শুরু করেছে। আবার চলতে গিয়ে থমকেও যাচ্ছে। আবার এগিয়েও যাচ্ছে। এই তো জীবন।
এর মধ্যেই আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে জমি মাফিয়া, ডন, জমিদস্যুদে্র গ্যাঙ। এঁদের জন্য রয়েছে লোকাল হোমড়া চোমড়াদের কমিশন বানিজ্য। আবার দাদাদের খুশও রাখতে হয়।
এরমধ্যে লকডাউনের বিধিনিষেধের কিছুটা শিথিল করতেই জমি দস্যূরা যার যার এলাকায় জমতে শুরু করেছে। চেলা চামুন্ডাদের রিভাইভ করছে। কেউ কেউ আবার ১৫/২০/৫০ হাজার গুঁজে দিচ্ছে। এই যে উষাবাজার, নুতননগর, কাশীপুরে, খয়েরপুর, ইন্দ্রনগর, রানীর বাজার, জিরানীয়া, নন্দননগরে, এমনকি চম্পকনগর, বিশালগড়, বাধারঘাট, সেবকসংঘ, ওএনজিসি, ডুকলী এলাকায় মাফিয়ার দল সকাল, বিকালে জমছে। খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছে।
কিন্তু মুশকিল হল এরা এখন তেমন জমি পাচ্ছেনা। কেননা কেউ কেউ জমি বিক্রি করতে নারাজ। তবু ওঁরা চক্কর কাটছে তো কাটছেই। রোজগার তো চাই, কতদিন এভাবে থাকা চলে?
জমি মাফিয়াদের বড় ঠেক বটতলা, নেতাজী চৌমুহনী, চন্দ্রপুর, জিরানীয়া, গোলচক্কর, জয়পুর, রামপুর, লেইকচৌমুহনী, রাধানগর, চন্দ্রপুর আইএসবিটি, ইন্দ্রনগর কালীবাড়ি, এলাকায়। জমি দস্যুদের আনাগোনা দেখলে নিরীহ গোবেচারা লোকজন অন্যদিকে দৌড়াতে শুরু করে। কেননা ওদের পাল্লায় পড়লে জমি বিক্রি করিয়ে ছাড়ার পাত্র এঁরা।
বুদ্ধমন্দির সন্নিহিত এলাকা হয়ে উঠেছে জমি মাফিয়াদের বড় ঠেক। ওখানে নানা এলাকার অখ্যাত, কুখ্যাত অক্সফোর্ডের গবেষকদের জটলা। শুধুই গবেষনা আর গবেষণার বিষয়বস্তু জমি কেনা বেচার।
কোন এক সময় জমি মাফিয়াদের তান্ডব, রিভলবারের দাপাদাপিতে আগরতলা জবুথবু হয়ে পড়েছিল। শুধু জমির দালালীর কাজ করে একেকজন লাখো লাখো টাকার মালিক, এপার্ট্মেন্ট এর মালিক। পাশাপাশি নেশার বানিজ্য তো আছেই।