Hare to Whatsapp
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না, গাদাগাদি করে ফের বাজার হাট চলছে, অনেকেই মাক্স ব্যবহার করছে না
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ১৪, : স্রেফ বাহুবল, আর অর্থ বলে শহর আগরতলায় একশ্রেনীর তথাকথিত বিত্তবান লকডাউনের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। যদিও ১৮ ই মে থেকে লকডাউন নুতন রুপ, নুতন রং এ আসবে বলে কথা। কিন্তু এর আগেই লকডাউনের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে তাঁরা, যারা অর্থ বলে বলিয়ান।
এনিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ। কিন্তু এরা ক্ষোভ বুকেই চেপে রাখেন। লকডাউনের দিন প্রধানমন্ত্রী লক্ষনরেখা টেনে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন সবাইকে লক্ষনরেখা মেনে চলতে। কারো বাড়ীতে কারো চলাচল, যাতায়াত নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমদিকে সবাই সব মেনে চলে। কিন্তু তারপর ধীরে ধীরে সব শিথিল হতে থাকে। একেক জনের বাড়ীতে ভোর থেকে ২/৩ জন করে পরিচারিকা আসতে থাকে। কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। না পরিচারিকা না যাদের বাড়ীতে আসছে, তাদের। অথচ এই মারাত্মক বেনিয়ম এর বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নেই। পুলিশ আছে,আছে প্রশাসন, সবাই জয় জগন্নাথ।
এই যেমন শিবনগরে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচন কেন্দ্র বনমালীপুরে একবাড়ীতে আটজনকে হোম কোয়েরেনটাইন করা হয়েছে। যাদের কোয়ারেনটাইন করা হয়েছে তারা ব্যবসায়ী। কিন্তু এতে কারো কোন মাথাব্যথা নেই। এই বাড়ীর আশপাশেই বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে মারাত্মক ভাবে। এই যে বললাম একেক জনের বাড়ীতে পরিচারিকাদের ভোর থেকেই লাইন পড়ে। এদের দেখে কিন্তু অন্যরা শিটিয়ে থাকছে। কারন কাকে কখন করোনা ভর করে তা অনিশ্চিত হলেও নিশ্চয়তার দিকেই ধাবিত হচ্ছে।
তবে পরিস্থিতি ও পরিবেশ যেদিকে ধাবিত হচ্ছে তা কিন্তু বিপন্ন সময়ের ইঙ্গিত করছে। অবিলম্বে এ ব্যাপারে পুলিশের ব্যবস্হা নেয়া উচিত বা প্রয়োজন। অন্যথায় সব কিছুই তালগোল পাকিয়ে যাবে।
এদিকে রাজধানীর যেখানেই যাওয়া যায় দেখা যায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না, গাদাগাদি করে বাজার হাট চলছে, অনেকেই মাক্স ব্যবহার করছে না। বাইকধারী যারা, তাঁরা কোনোকিছুর তোয়াক্কা করছে না। ওরা বরাবরই ধরাকে সরা মনে করে। ওদের দেখে মনেই হয়না বিশ্ব মারন ব্যাধিতে আক্রান্ত। করোনা যে এ রাজ্যেও থাবা বসিয়েছে সে ভাবনাও ওদের নেই। কেন যে এ অবস্থা তা ওরাই বলতে পারবে অন্যরা নয়।