Hare to Whatsapp
লকডাউনে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর ফাটকাবাজী, নেশড্রাগস বানিজ্য অব্যাহত
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ১২, : মাঝেমধ্যে প্রশাসন ও পুলিশের যতই হানাদারী চলুক না কেন কালোবাজারী কিংবা নেশা কারবারীরা দিব্যি তাদের বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের খামতি নেই । বরং নেশা কারবার যমন সম্প্রসারিত হয়েই চলছে তেমনি লকডাউনের মাঝেও ব্যবসায়ীদের ফাটকাবাজী বহাল রয়েছে।
প্রধান বানিজ্যিক এলাকা বলে পরিচিত মহারাজ গন্জ বাজারের একাংশ ভুইফোঁড় ব্যবসায়ী রয়েছে যারা দিনকে রাত করে সাধারণ মানুষের গলা কাটার পথ নিত্যদিন সম্প্রসারিত করেই চলেছে।লকডাউনে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিগারেট নিয়ে যে ফাটকাবাজী করেছে এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। মাঝখানে প্রশাসন বাজারে হানা দিয়ে কিছু অসাধু দোকানীকে জরিমানা করেছে, দোকান সিল করে দিয়েছে। এতে কিন্তু এদের কোন পড়োয়া নেই।হানাদারীর পরদিনই এরা খুচরো ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দিল কোন কিছুই নেই। সিগারেট তো দূরের কথা। আর এর ফাঁকে ওরা সব দুনম্বরি পথে এগিয়ে গেল। বেশী করে গলা কাটতে শুরু করল। বিপাকে ক্ষুদ্র দোকানী আর ধূমপায়ীরা।৬০টাকার প্যাকেট ১৬০/ আর ১০০/টাকার প্যাকেট ২৩০/।ব্যস্ হয়ে গেল। অবশ্য কাজের কাজ কিছু হয়েছে। ধূমপায়ীরা ১০ র জায়গায় ৩/৫ ষ্টিকে টান দিচ্ছেন। অসংখ্য লোকজন টাকার জ্বালায় ধূমপান বিদায় দিয়েছেন। কিন্তু বিষয় তো অন্যখানে।হানাদারী এক দিন চালিয়ে এর কোন ফলোআপ নেই মানে পরে আর তদারকি নেই।ব্যবসায়ীরাও জরিমানার অর্থ দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের পকেট থেকেই বেড় করে নিচ্ছেন।
ব্যবসায়ী বলে কথা। এঁরা ও নুতন পথ বের করে নিয়েছে।জেলা, মফস্বল থেকে যুবকদের এনে তাদের দিয়ে হকারী করাতে শুরু করেছে। মহারাজ গন্জ বাজার এলাকায় এখন যুবকদের দাপট। গলায় গেরুয়া মাফলার , মুখে মুখে অমুক মন্ত্রীর চেলা বলে পরিচয় দিয়ে বাজার কাঁপাচ্ছে এরা।
কোথায় লকডাউন, কার্ফু? ওদের কাছে এসব নেই।সারা রাত এদের বাইকের দাপট।এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটছে নেশার ট্যাবলেট, ইয়াবা, হেরোইনের পুরিন্দার বান্ডিল নিয়ে।এদের জন্য পুলিশ আছে কি নেই তা বলতে পারবে ওরা বা পুলিশ । বাইক পেট্রোল বা থানাদার বলতে পারবে।
লোকজন বলাবলি করছে রামু সাহা একজন তো নয় এমন আরো অনেক রামু সাহা রয়েছে।যাদের সাম্রাজ্য অনেক বড় ও বিস্তৃত। বড় বড় চুনোপুঁটির উপর যদিও হাত পড়তে শুরু করেছে কিন্তু বড় রাঘব বোয়াল দের জালে তুলে আনারও জনমত বাড়ছেই।এক চ্যানেলের মালিক যিনি কয়েক মাস আরাম আয়াস করে কাটিয়েছেন তিনি নাকি এখন অধিকতর সক্রিয় এবং মরীয়া হয়ে নেশা বানিজ্য রমরমা করে তুলছেন বলে প্রকাশ।এমন আরো ১/২ জন রয়েছে যাদের মন ও মুখোশ ভিন্ন ভিন্ন। প্রশ্ন হলো যেখানে গোটা রাজধানী প্রায় সিসিটিভি-র আওতায় সেখানে পুলিশ এই তৎপরতা জানবে না বা রাতে বাইকের দল কোথায় ছুটে তাতো অবশ্যই ফুটেজ বন্দী।নেশা বা ড্রাগস বানিজ্য সামাল দেয়া জরুরি। কেননা রাজধানী যে এখন অনেকটাই ড্রাগসে ভাসছে।