Hare to Whatsapp
লকডাউনেও দিব্যি রমরমা বাণিজ্য অব্যাহত নেশা জাতীয় পন্যের
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ১১, : লকডাউনেও দিব্যি রমরমা বাণিজ্য অব্যাহত নেশা জাতীয় পন্যের । রাজধানীর প্রায় সর্বত্রই এই বানিজ্য এবং তা লাগামহীন ভাবে ই চলছে।পুলিশ যদিও তার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে তবু কোথায় জানি একটা ফস্কা গেরো রয়েছে।তা না থাকলে কিভাবে এই বানিজ্যের রমরমা অবস্থা? রমরমা মানেই উদ্দাম এবং বলা চলে খোলামেলা ভাবে ই চলছে ইয়াবা সহ অন্যান্য নেশা পন্য। মোড়ে মোড়ে পুলিশ, বাইক পেট্রোল এবং সাদা পোশাকের পুলিশের নজরদারি রয়েছে। রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা গোটা রাজধানীতে।
মাদক কারবারীরা পন্য পৌঁছে দিতে নিত্য নতুন ক্যারিয়ার ব্যবহার করছে। জানা যায় বাইকধারী ক্যারিয়াররা ২/৩টি ডেসটিনেশানে পৌছে দিচ্ছে হেরোইন এর ছোট ছোট প্যাকেট,বা ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক কিংবা নেশা পন্য।বলা হয় এদের পেমেন্ট নাকি তাৎক্ষণিকভাবেই হয়ে থাকে। শেষ পয়েন্টেই এই পেমেন্ট দেয়া হয়। শুনলে অবাকই হতে হয় যে কারবারীদের তথাকথিত মাসলম্যান বা মাফিয়া লাষ্ট পয়েন্টের আশপাশে দাড়িয়ে থাকে। উল্টাপাল্টা করার জো নেই ক্যারিয়ারদের। পুলিশ ও নাকি সব জানেনা বা ক্যারিয়ারদের চেনে না।চিনবেই বা কি করে এক একজন ক্যারিয়ার যে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। অনেকেই নাকি টিউশন ও করে থাকে।এর ই ফাঁকে আধঘন্টায় ১/২ হাজার টাকা কামিয়ে নেয়।
শুনলে অবাক হতে হয় যে সাম্প্রতিক সময়ে মেয়েরাও যুক্ত হয়েছে এর সাথে। এদের ব্যবহার করা তো নিরাপদ। কেননা এই মেয়েদের অনেকেই চেনে না বিশেষ করে পুলিশ, গোয়েন্দা। মফস্বল শহর গুলি থেকে তো বহু মেয়ে রাজধানীতে আসে,কলেজে পঠনপাঠন করে থাকে বলে বাড়ি ভাড়া নেয়।ওরা কলেজে পড়ে এটা তেমন ঠিক, তেমনি প্রাইভেট ফার্মে পার্ট টাইম জব করে। এরমধ্যেই বাইকের পেছনে বসে কিছু পৌঁছে দিয়ে হাজার টাকা কামিয়ে নেয়া তো ওদের কাছে আশীর্বাদ। অবাক করার ঘটনা হলো যে ওরা কি নিয়ে যাচ্ছে তা ওরা নিজেরাই জানেনা।আর যখন জানতে পারে তখন নাকি এদের আর ব্যবহার করা হয় না।নুতন শিকার নিয়ে আসা হয়। রাজধানীর হালফিল চিত্র সত্যিকার অর্থেই নাজুক।
এসব ড্রাগের ঠেক রোডসাইড টি ষ্টল গুলি।প্রায় প্রতিটি ষ্টলের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকে কিছু বাইক।কেউ কেউ এসব নেশা পন্যের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ।আসতে দেরী হয় কিন্তু ব্যবহারে নয়। ফটাফট মুখে পুরে গরম গরম চা,বেশী মিষ্টি দেয়া গলায় ঢেলেই ফুস। এটা অনেকেই দেখে থাকেন।তবে দেখার মত নজর থাকা অবশ্যই থাকা চাই।
আজকাল কতিপয় অটো,টমটম চালক ও ক্যারিয়ার হিসাবে কাজ করে থাকে বলে ওরাই বলাবলি করে থাকে। ওদের নাকি বিকল্প কিছু নেই। রোজগার তেমন হয়না।টমটম বা অটোরিক্সা র মালিকের ভাড়াও তারা দিতে পারেনা।৬ ঘন্টায় ২৫০/ ভাড়া মালিককে দিতে হয়। নিজের খাওয়া, টিফিন তো বাদই। বাড়ীতে নিয়ে যাবে কি? তাই আন্ধা গলির পথ ছাড়া তাদের বিকল্প ও নেই।
তবে শেষ কথার এক কথা নেশার সমুদ্রে হাবুডুবু খেতে শুরু করেছে আমাদের এই গর্বের শহর আগরতলা।