Hare to Whatsapp
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ঢাকায় নিযুক্ত সাত দেশের রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের অভিযোগ, তাদের কাজকর্মেরও তীব্র সমালোচনা করেছে ঢাকা
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ৯, : ঢাকায় নিযুক্ত সাত দেশের রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের অভিযোগ উত্থাপনের অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ। ঢাকার অভিযোগ সাত দেশের রাষ্ট্রদূত কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণতো করেছেই এরা প্রটোকল বিরোধী কাজ করেছে। যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে কামান দাগা হয়েছে তারা হলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা স্লাইটার, যুক্তরাজ্যের রবার্ট গিবসন, ডেনমার্কের উইনি পিটারসেন, নেদারল্যান্ড র হ্যারি ভার ওয়াজ ও ইইউ এর লেন্সে টেরিঙ্ক।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন এই সাত দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাম্প্রতিক কাজকর্মে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন এরা সবাই মিলিতভাবে টুইটারে এমন বিবৃতি দিয়েছেন যা দূঃখজনক। এঁরা তো বলতেই পারতেন রাখাইনের সংঘর্ষ বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু এরা তা করেনি বা সে পথেই যায়নি। এঁরা তো তাদের মতামত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে পারতেন। কিন্তু এঁরা তা করেনি। বরং এরা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন। মোমেনের প্রশ্ন এরা কি বাংলাদেশে রাজনীতি করবেন? তাদের এসব কাজ ঢাকা অনুমোদন করে না।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি এঁরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে ঢাকার সমালোচনা করে টুইটার এ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য সম্প্রতি বাংলাদেশ এগারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এদের মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে চারজনকে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন কার্টুনিস্ট, ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী। এসম্পর্কেই রাষ্ট্রদূতরা সমালোচনা করে টুইট করেন। এদের টুইটারের বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেই বাংলাদেশর পররাষ্ট্র মন্ত্রী এই সমালোচনা করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বলেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা উদ্বেগজনক।প্রত্যেকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।এটা ঢাকাকে নিশ্চিত করতেই হবে।