গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ১৭, : রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য হলো রাজ্যের প্রান্তিক এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা। রাজ্যের প্রান্তিক এলাকার জনগনের কাছে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির সুফল পৌছে দিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রান্তিক এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক যোগাযোগ সহ জনগণের আর্থ সামাজিক মানোন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ১৬ জুন সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ত্রিপুরা স্টেট এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি কাউন্সিলের প্রথম সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে এম জি এনরেগা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাজ্যের অধিকাংশই গ্রামীণ এলাকা। রাজ্য সরকার গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টিতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। তাই উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে জেলাশাসক ও সমাহর্তা, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সহ বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে প্রতিনিয়ত সম্বনয় রেখে কাজ করা প্রয়োজন। উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি সম্পর্কেও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করার পাশাপাশি কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে নিয়মিত মনিটরিং- এর উপর মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব-আরোপ করেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে কোনও ধরণের সমস্যা এলে তা দ্রুত জনপ্রতিনিধিদের গোচরে এনে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
সভায় কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ, অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, বিধায়ক কিশোর বর্মণ, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব, বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার, বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, বিধায়ক মাইলায়ু মগ, এমডিসি সঞ্জিব রিয়াৎ, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন দপ্তরের সচিবগণ, টিটিএএডিসি'র সিইও এবং রাজ্যের ৮টি জেলার জেলাশাসকগণ উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন।
সভায় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব কুন্তল দাস ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজ্যে রেগায় কাজের সাফল্য এবং আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্যে ৮টি জেলা, ৫৮টি ব্লক, ১, ১৯৩টি গ্রাম পঞ্চয়েত ও ভিলেজ কমিটিতে এম জি এন রেগায় মোট ৬,৯৪,৫৫৯ জবকার্ড হোল্ডার রয়েছেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজ্যে ৩ কোটি ৫৩ লক্ষ ৩৭ হাজার শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব কুন্তল দাস জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এম জি এন রেগায় প্রায় ৫ হাজার ২১০টি বনায়ন কর্মসূচি সম্পন্ন করা হয়েছে। রাজ্যের আনারস চাষকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রেগার অনুমোদিত কাজের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য গ্রামোন্নয়ন দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে জেলাগুলিতে এম জি এন রেগার মাধ্যমে যেসব কাজ রূপায়িত হয়েছে এবং বর্তমানে চলছে তার বিস্তারিত তথ্যও তিনি তুলে ধরেন। সভায় অতিরিক্ত সচিব চলতি অর্থবছরে অনুমোদিত লেবার বাজেট এবং প্রস্তাবিত কাজের কথাও সভাকে অবহিত করেন। এসএনএ স্পর্শ চালু সহ ভূমি উন্নয়নে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা যথাযথভাবে অনুসরণ করার বিষয় সভায় আলোচনায় প্রাধান্য পায়। তাছাড়াও রাজ্যে সোশ্যাল অডিট-এর গুরুত্বের বিষয়টিও সভার আলোচনায় উঠে আসে।
আরও পড়ুন...