Hare to Whatsapp
আই জিএম-এর পরিত্যাক্ত বিল্ডিংকে বাদ দিয়ে ভগৎ সিং যুব আবাসকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ চিকিৎসা কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ৯, : রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভগৎ সিং যুব আবাসটিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ চিকিৎসা কেন্দ্র করার। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। এই ভবনটি ভিআইপি রোড সন্নিহিত। পাশেই স্কুল, আবাসন, অদূরেই সচিবালয়, সরকারী কোয়ার্টার কমপ্লেক্স, হাইকোর্ট এর প্রধান বিচারপতি সহ, মুখ্যসচিব ও অন্যান্য পদস্থ অফিসাররা বসবাস করেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি নিবাস সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে। সাধারণত এই সব হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্র জনবসতি নেই এমন এলাকায় করা হয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে এমন এলাকায় এটি করার তৎপরতা চলছে তা অনেকেই ভাবিয়ে তুলেছে। এ বিষয়টি সরকারের আরো গভীরভাবে ভাবনা চিন্তা করা প্রয়োজন বলে বিদ্ধজনেরা মনে করেন।
ভগৎ সিং যুব আবাসের বিপরীতেই জিন্জার হোটেল। শ্রীকৃষ্ণ মিশন স্কুল। প্রচুর ছাত্র ছাত্রী সে স্কুলে।
প্রয়োজন রয়েছে আরো ভাবনা চিন্তা করার। সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই এনিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। অনেকেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেননা। চিকিৎসকদের একটি মহল বলছেন আই জি এমহাসপাতাললের নয়া বিল্ডিং এ নিয়ে যাওয়া উচিত করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রটি। অন্যথায় গ্রিন জোনে থাকা পশ্চিম জেলাও খুব সহশাই রেড জোন হতে বাধ্য।
এপাড়ে বাড়ছে, ওপাড়ে বাড়ছে আর রাজ্যেও বাড়ছে অনেকটাই দ্রুতগতিতে। প্রতিদিন নুতন রোগী সনাক্ত হচ্ছেন। মৃত্যু ও হচ্ছে প্রতিদিন। উদ্বেগে দেশ ও প্রশাসন। সাধারণ মানুষ সংক্রমনের খবরে দিশেহারা বলা চলে।
ত্রিপুরার উদ্বেগ সংগত কারণেই। ঘরের প্রায় তিন দিক বাংলাদেশ বেষ্টিত। সীমান্ত ও পুরো কাঁটাতারে বেষ্টিত নয়। বেশ কয়েক কিলোমিটার সীমান্ত এখনও উন্মুক্ত। যদিও ওই এলাকায় বিএসএফের প্রহড়া, নজরদারি ও টহলদারি রয়েছে। তবু মাঝেমধ্যেই বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটেছে। বিপদ আমাদের ওখানেই। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী রাজ্যে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১২০ ছাপিয়ে গেছে। প্রথমে বিএসএফের সংক্রমনের খবরে আসে ধলাই জেলা সদর সন্নিহিত জওহরনগর এলাকায়। গতকাল আসে কমলপুর শহর লাগোয়া চৌকি থেকে। এক ট্রাক চালক ও সংক্রমিত হয়েছে বলে খবর।
প্রশাসনের চিন্তা কমলপুরের মোহনপুর বিওপিতে কিভাবে সংক্রমন হয়েছে? এটা প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে। নানা বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য অবশ্য আজ রাজ্যে আসছে একটি বিশেষজ্ঞ দল। তাঁরা নাকি এ বিষয়টি ভেবে দেখবেন। সংক্রমনের বিস্তার বিপজ্জনক ব্যাপার। এর কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিরোধাত্নক ব্যবস্হা গ্রহন না করা হলে তো সংক্রমন বাড়তেই পারে। বিষয়টি ভেবে দেখা জরুরী বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।