জনজাতিদের বিকাশে প্রতিটি ক্ষেত্রে একশো শতাংশ উন্নয়ন করাই বর্তমান রাজ্য সরকারের প্রধান লক্ষ্য : জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ১৬, : জনজাতিদের বিকাশে প্রতিটি ক্ষেত্রে একশো শতাংশ উন্নয়ন করাই বর্তমান রাজ্য সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তাই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাথে সাথে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জনজাতিদের বিকাশে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ১৫ জুন প্রজ্ঞাভবনে রাজ্যভিত্তিক ধরতী আবা জনভাগিদারী অভিযানের সূচনা করে একথা বলেন জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। উল্লেখ্য, এই কর্মসূচি চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের জনজাতিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যেসকল পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে, বিগত কেন্দ্রীয় সরকারগুলির আমলে তা কখনও দেখা যায়নি। এই অভিযানের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি জনজাতি অধ্যুষিত ভিলেজ কমিটিগুলিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সুবিধাভোগীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ২০টি দপ্তরের বিভিন্ন পরিষেবা সুবিধাভোগীরা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিভিন্ন শিবির থেকে সহজেই গ্রহণ করতে পারবে। জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের জনজাতিদের একটা অংশ এখনও সরকারি বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে সচেতন নন। সেক্ষেত্রে এই কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারবে। তাঁর বক্তব্যে জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধুমাত্র শিক্ষিত হলেই চলবে না। শিক্ষার পাশাপাশি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও কাজ করতে হবে। তিনি ছাত্রছাত্রীদের প্রতি ক্রীড়া ও সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় আরও বেশি করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গঠন জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়েই সম্ভব। অতীতের কোনও সরকারই ভগবান বিরসা মুন্ডার সঠিক মর্যাদা দেয়নি। যদিও এই দেশের স্বাধীনতায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে এই দেশ একজন মহিলা রাষ্ট্রপতি পেয়েছে। ২০১৮ সালে বর্তমান রাজ্য সরকার গঠনের পর থেকে রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব অনেকটা হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে জনজাতি এলাকায় সুযোগ সুবিধা বিস্তারে বর্তমান রাজ্য সরকার একাগ্রচিত্তে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল শিডিউল ট্রাইবস ফাইনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের এম.ডি. তথা চেয়ারম্যান টি. আর. পাইতে, টি.আর.পি. অ্যান্ড পি.টি.জি. দপ্তরের অধিকর্তা নগেন্দ্র দেববর্মা, ট্রাইবেল রিসার্চ ও কালচারেল ইন্সটিটিউটের অধিকর্তা রত্নদীপ দেববর্মা। অনুষ্ঠানে জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ আজ রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের জন্য অনলাইন স্মার্টক্লাসের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। এছাড়াও জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বিভিন্ন বিদ্যালয়ের বোর্ডিং হাউসের জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের সাথে মতবিনিময়ও করেন। এই অনুষ্ঠানে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ২ জন জনজাতি ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শুভাশিস দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবী বিপিন দেববর্মা।
আরও পড়ুন...