Hare to Whatsapp
হঠাৎ করেই রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সঙ্গত ভাবেই উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বেড়ে গেল
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ৬, : হঠাৎ করেই রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সঙ্গত ভাবেই উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। উদ্বেগের আরো বড় কারন হচ্ছে একটি সুসংগঠিত বাহিনীর ব্যাটেলিয়ান সদর দপ্তরে সংক্রমন। এব্যাপারে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী বসে নেই। তিনি রিপোর্ট তলব করেছেন। রিপোর্ট তলব করা স্বাভাবিক। কেননা কিভাবে বি এস এফ বাহিনীর অভ্যন্তরে এই সংক্রমন হল, কি ছিল সতর্কতা মূলক কার্যক্রম, কোন ধরনের আভ্যন্তরীন চিকিৎসা পরিষেবা ছিল কিনা? থাকলে কিভাবে এতজন সংক্রমিত হল? বিস্তারই কিভাবে হলো? বিপুল সংখ্যক আক্রান্ত হওয়াতো হালকা করে দেখার মত নয়। যেখানে গোটা রাজ্যে দুজন রোগী সনাক্ত হয়েছিল ইতিপূর্বে সেখানে একটি বাহিনীর অভ্যন্তরে কিভাবে ব্যাপক ভাবে বিস্তার লাভ করেছে?
নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় আভ্যন্তরীন সতর্কতামূলক ব্যবস্হা, চিকিৎসা পরিষেবা খুব দূর্বল ছিল। না থাকলে তো এভাবে বিস্তার হতেপারেনা। এখন তো অনেকেই আশংকা করছেন আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তে পারে। তথ্য পরিসংখ্যান ব্যবস্হাপনা এই কথাই বলছে। যারা সনাক্ত হয়েছে তারাতো নিশ্চিত ভাবেই বাজার হাটে গিয়েছে, গিয়েছেন দোকান পাটে, ক্যাম্পের বাইরেতো লোকজনের সাথে বাতচিত করেছেন অবশ্যই। তবে তো তাঁরাও সংক্রমিত হয়েছেন। যদিও কয়েক জনকে পরীক্ষা করে পজিটিভ পাওয়া যায়নি।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মতো একটি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী যাদের উপর দেশের ভূখণ্ড রক্ষা সহ বিবিধ দায়িত্ব তাদের মধ্যেতো ব্যাপকভাবে রোগ সংক্রমণ হালকা করে দেখার বিষয় নয়। যদি বলা হয় আভ্যন্তরীন তদারকির অভাবে তাহলে কি ভূল বলা হবে? মোটেই না। সম্ভবত এ কারণেই মুখ্যমন্ত্রী রিপোর্ট তলব করেছেন।কবে রিপোর্ট আসবে তা ওরাই বলতে পারবে। কিন্তু বিএসএফের একটি ব্যাটেলিয়ানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিরাপত্তা জনিত প্রশ্ন উদ্রেক করে অবধারিত ভাবেই।