Hare to Whatsapp
ব্যাংক থেকে লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজি: গ্রেফতার এক ব্যক্তি
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ৬, : ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক কাঞ্চনপুর শাখায় ২০১৯-২০২০ পিএম কিষান যোজনা ও কে সি সি যোজনা লোন প্রদান নিয়ে বড় রকমের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুধু গত এপ্রিল মাসেই ৬০ টি লোন অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। জমারায় পাড়া, কাংগরাই, শুক্র মনিপাড়া, কাঞ্চন ছড়া, দুপাতা ছড়া এই সব গ্রামগুলি থেকে কিছু লোককে লোন পাইয়ে দেওয়ার পলোভন দিয়ে কম করেও ৬০ জনকে দিয়ে ফরম ফিলাপ করান। ফর্ম কালেকশন করেন জমারাই পাড়ার এক ব্যক্তি যার নাম আদি জয় রিয়াং । বয়স ৫৩ । ফরম গুলি পূরন করে তিনি নিজেই ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারের হাতে জমা দেন।
জানাগেছে, প্রায় প্রতিদিনই আদিজয় রিয়াং ব্যাংকে আসেন। মাসে কম করেও গড়ে ২২-২৩ দিন তিনি ব্যাংকে আসেন। সকালে ব্যাংক খুললেই উনার চেহারা ব্যাংকের ভিতরে দেখা যায় এবং সারাক্ষণই ম্যানেজারের চেম্বারে কাটান। আদিজয় এর জন্য ব্যাংক ম্যানেজার-এর দরজা সব সময়েই খোলা। অন্য কেউ যদি সুযোগ নাও পায় কিন্তু আদি জয় বাবু সুযোগ পাবেনই। উনার জন্য দরজা খোলা ।
গত কয়েক মাস ধরে যে উনার ব্যাংকের যাওয়া-আসা বেড়ে গেছিল ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থাকেই তার প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে।
জানাগেছে, বেনিফিসারীদের নামে লোন স্যাংশন হয় ১৯ হাজার থেকে ৪০ হাজার। কিন্তু আদীজয় বেনিফিসারীদের কাছ থেকে ব্ল্যাংক থেকে টাকা তোলার খালি ফর্মে সই নিয়ে রাখেন। এবং আদিজয় ব্যাংকের সাথে যুক্ত হয়ে নিজেই লোনের টাকা তুলে বাড়িতে নিয়ে যান। এর পরে বেনিফিসারীদেকে ডাকেন লোনের টাকা নেওয়া জন্য । বেনিফিসারী তার বাড়িতে গেলে ১৯০০০ এর জায়গায় ১৪৫০০ টাকা হাতে তুলে দেন ।
জানাগেছে, কাঞ্চনপুরের মহকুমা শাসিক চানদিনি চন্দ্রন -এর কাছেও সম্প্রতি এই অভিযো জমা পড়ে। ওনার কাছে এক বেনিফিসারী লিখিত ভাবে আবেদন করেন এবং থানার ওসিকেও এঘটনা জানান।
জানাগেছে আদি জয় কে এতদিন পুলিশ খুঁজে পাচ্ছিল না। আজ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামীণ ব্যাংকের বারান্দায় হানা দিয়ে আদি জয় কে থানায় নিয়ে আসেন। ওই সব এলাকার বেনিফিসারীদের সাথে মৌখিকভাবে আলোচনা করলে তাদের অনেকেই জানান, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক-এর কাঞ্চনপুর শাখায় গেলে লোন এর জন্য আলোচনা করতে চাইলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদিজয়-এর সাথে কথা বলার জন্য বলেন। লোন পেয়েছেন এমন বহূ বেনিফিসারী রয়েছেন যাদের মধ্যে অনেকেই ব্যাংকের ভিতরে যাননি। আদিজয় -এর বাড়িতে গিয়ে লোনের টাকা সংগ্রহ করতে হয়েছে । আবার অনেক জনকে ভয় দেখিয়ে ১৪৫০০ টাকা দিয়ে ১৯০০০পেয়েছি বলার জন্যও বেনিফিসিয়ারিদের উপর চাপ দেন। ৪৫০০ টাকা কেন কম দেওয়া হলো হিসাব চাইলে উনি বলেন এ টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে Covid-19 মহামারীর সময় ভারত সরকার গরিবদেরকে সাহায্য করতে বাকি টাকা খরচ হবে বলে দেওয়া হয়।