Hare to Whatsapp
করোনায় লন্ড ভন্ড অবস্থায় হঠাৎ করেই বিজ্ঞান বিভাগ অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত কেন? কি প্রয়োজন ছিল? মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন উঠেছে প্রশ্ন
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ৫, : হঠাৎ করেই প্রায় একতরফাভাবে সদরের ২৫ টি স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগের অবলুপ্তির ঘোষণায় রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
জানাগেছে, শিক্ষা দপ্তরের পশ্চিম জেলা আধিকারিকের স্বাক্ষরিত নির্দেশে বলা হয়েছে উর্দ্ধতন মহলের নির্দেশে বিজ্ঞান বিভাগ অবলুপ্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উর্ধ্বতন মহল বলতে কাকে বোঝানো হচ্ছে তা জেলা আধিকারিক বলতে পারবেন। উর্ধ্বতন আধিকারিক কি শিক্ষা মন্ত্রী না মুখ্যমন্ত্রী ? যেখানে দেশ জুড়ে বিজ্ঞানের প্রসারে দিনরাত তৎপরতা সেখানে কেন বিজ্ঞান শাখা বন্ধ করে দেওয়া হবে? বিজ্ঞান প্রয়োজন প্রতি পদে পদে। এই যে অনলাইনে ক্লাস করা হচ্ছে তাও তো বিজ্ঞানের অবদান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া জীবনতো এখন অচল। ভাবাও যায় না, চলাও যায়না বিজ্ঞান ছাড়া। অবশ্য যাদের ইঙ্গ দেখতে বঙ্গ ফাটে তাদের কাছে তো বিজ্ঞান চিন্তাও করা যায় না বা ভাবাও যায় না।
ওই অঞ্চলের যারা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছাত্রী তাদের কেন বিজ্ঞান থেকে অবরুদ্ধ করা হল? কি তাদের অন্যায়? অন্যায় এদের একটাই হতে পারে যে এদের অধিকাংশই গ্রামের। যদিও শহরের কিছু ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
বিজ্ঞান জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ। বিজ্ঞান ছাড়া ভাবাই যায়না কিছু। চলতে বলতে বিজ্ঞান,আরাম আয়াশে বিজ্ঞান, লেখাপড়ায় বিজ্ঞান। বিজ্ঞান নেই কিসে? সব খানেই বিজ্ঞান এবং এর জয়জয়কার।
কোথায় আছি আমরা ত্রিপুরাবাসী। এমনিতেই এখন করোনায় লন্ড ভন্ড জীবন, জীবনের গ্যারান্টি নেই, নেই নিশ্চয়তা সেখানে হঠাৎ করেই বিজ্ঞান বিভাগ অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত কেন? কি প্রয়োজন ছিল। আর এই সিদ্ধান্ত তো মেনেও নেওয়া যায়না। কেউ মানবে বলেও মনে হয়না। ইতিমধ্যেই এর বিরোধিতা করেছে দুই সংগঠনের কর্মকর্তারা। আজ আরো অনেকেই এর বিরোধিতা করবে ।
প্রসঙ্গতঃ খবর হলো মুখ্যমন্ত্রী নাকি এব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর।