Hare to Whatsapp
একসাথে ত্রিপুরার ২৫ টি স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ তুলে দিল শিক্ষাদপ্তর
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ৪, : লকডাউনে গোটা বিশ্বের জীবন যাত্রা প্রায় স্তব্দ। মানবসভ্যতা অস্তিত্ব সংকটে। নিত্য দিন অসংখ্য প্রান ঝড়ে পড়ছে। ব্যতিক্রম নয় ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা। তবে ব্যতিক্রমী কাজ করে বিশ্ব নজীর গড়ে তুলতে চলেছেন রতন নাথ। দিন নেই রাত নেই শুধু কাজ। এমন কাজ একসাথে অন্তত ২৫ টি স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ তুলে দিয়েছেন এক খোঁচায়। রবিবার সব অফিস ভারতে বন্ধ থাকলেও রতন বাবুর শিক্ষা দপ্তরে বন্ধ নেই। বন্ধ নেই বলেই পশ্চিম জেলা শিক্ষা অফিসার এক নির্দেশ জারী করেছেন। এই নির্দেশে তিনি নানা তথ্য তুলে বলেছেন ২৫ টি স্কুলের বিজ্ঞান পড়ুয়া কম। তাই ওখানে বিজ্ঞান বিভাগ রাখা হবে না। এ ব্যাপারে শিক্ষক,পড়ুয়াদের যেন আগামীকাল অবহিত করা হয় ।
ওই নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ইচ্ছে অনুযায়ী দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বলিহারি সিদ্ধান্ত এবং অবশ্যই যুগান্তকারী। যেখানে গোটা বিশ্বে বিজ্ঞানের প্রসারে ব্যাপক উদ্যোগ অব্যাহত সেখানে পান্ডব বর্জিত রাজ্যে বিজ্ঞান এর সংকোচন করা হচ্ছে। ওই স্কুলগুলোতে তারা বিজ্ঞান নিয়ে পঠনপাঠন করছে এখন তাঁরা কোথায় যাবে বা কি করবে? আর এসব বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনেক কিছু যেমন চিন্তা ভাবনা করতে হয় তেমনি নানা স্তরে আলোচনা করতে হয়।
ওই স্কুলগুলির বিজ্ঞান পড়ুয়ারা এখন কোথায় যাবে? এঁরা তো পড়বে এখন মহা ফ্যাসাদে।
ইতিপূর্বে পড়ুয়াদের অভাব দেখিয়ে এ রাজ্যে বেশ কিছু স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে ও কিন্তু আস্হা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তদোপরি বিজ্ঞান বিভাগ তুলে দেওয়া হলে অবধারিত ভাবে বিজ্ঞান শিক্ষকদের বদলী করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। অথচ মাস দুয়েক আগে এদের এই স্কুলগুলোতে দেওয়া হয়েছিল। এদের একেকজনকে টিচার লিডার হিসেবে ১৬/১৭ টি স্কুলের পঠনপাঠন দেখভালের জন্য বদলী করা হয়েছিল ৬/৭ মাস আগে। স্কুল থেকেই এদের উঠিয়ে নেওয়া হয়। এমনিতেই শিক্ষকরা ব্যতিব্যস্ত। আজ এখানে তো কাল ওখানে,আজ এ দায়িত্ব তো কাল আরেক দায়িত্ব। এঁরা নিজেরাও জানেনা কাল ওদের কি করতে হবে।
১০৩২৩ শিক্ষকদের চাকুরী হারানোর পর বিদ্যালয়গুলিতে এখন পঠনপাঠন অনিশ্চয়তা। কারন শিক্ষক সংকট। গতকালের নির্দেশ কার্যকর হলে তো আর কথাই নেই।হবে ষোলোকলা পূরন। যতসব অদ্ভূত ব্যাপার।
এ ব্যপারে জেলা শিক্ষা অফিসার অফিসে মতামতের জন্য ফোন করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি। ফলে মতামত দেওয়া যায়নি। পরে মতামত দিলে তা সংযোগ করে দেওয়া হবে।