Hare to Whatsapp
হাসপাতালগুলিতে রোগীর অস্ত্রোপ্রচার জরুরি ভিত্তিতে শুরুর নির্দেশ দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য তথা অতিরিক্ত মুখ্যসচিব শ্রী এস কে রাকেশ
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ৪, : গত ২৪শে মার্চ থেকে লকডাউনের কারনে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল গুলিতে জরুরি প্রয়োজনেও রোগীদের অস্ত্রোপ্রচার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে এভাবে সাধারন রোগীদের আস্ত্রোপ্রচার বন্ধ করে রাখায় রাজ্যের শত শত বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা মহা ফ্যাসাদে পড়ে যান। কিন্তু লকডাউনের তৃতীয় দফায় কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রক হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সব ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা যাবে বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু তার পরও কোন এক অজ্ঞাত কারনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও রাজ্য স্বাস্থ্য সচিব-এর নির্দেশে থাকা সত্বেও রাজ্যের প্রধান প্রধান হাসপাতাল লিতে জরুরি ভিত্তিতে করা প্রয়োজন এমন সব রোগীদেরও অস্ত্রোপ্রচার (অপারেশন) করা হবে না বলে আজও রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। উদ্ভত অবস্থার প্রেক্ষিতে রাজ্যের বেশ কয়েক শত রোগী মহা বিপদে পড়ে গেছেন।
জানা গেছে, জিবি, আইজিএম ও ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আজও শুধু ওপিডি সেকশানে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তাও কোন রোগীকেই ভর্তি রাখা হচ্ছেনা। যতটা সম্ভব বহিঃ বিভাগ থেকেই কিছু একটা উপদেশ দিয়ে রোগীদের বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এসম্পর্কে আজ ত্রিপুরার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগেরও দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিব এস কে রাকেশ-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পস্টতই জানান সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রীন জোনে মোটামুটি সব পরিষেবাই কম বেশী চালু রাখা যাবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবা অবশ্যই চালু থাকবে বলে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এস কে রাকেশ জানান। একই সঙ্গে তিনি এটাও বলেছেন যে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রীন জোনে বেসরকারী স্তরেও সব রকমের স্বাস্থ্য পরিষেবাও চালু রাখা যাবে গ্রীন জোনে। এই ক্ষেত্রে পশ্চিম জেলা গ্রীন জোনেই রয়েছে। তাই পশ্চিম জেলায় সব হাসপাতাল ও নার্সিং হোমেই সব ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু থাকবে বলে তিনি জানান।
কিন্তু এব্যাপারে আজ সকালে টি এম সি-র চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার স্বপন সাহাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি স্পস্টতই জানান, গ্রীন জোনে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রয়েছে বা তাদের হাসপাতালে সব রোগীদের অস্ত্রোপ্রচার করা যাবে এমন কোন সার্কুলার এখন পর্যন্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জারী করা হয়নি। তিনি এবিষয়ে উচ্চ মহলে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, গ্রীন জোনে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রকের সর্বশেষ সার্কুলারে স্পস্টতই বলা হয়েছে যে, Out-Patient Departments (OPDs) and Medical clinics shall be permitted to operate in Red, Orange and Green Zones, with social distancing norms and other safety precautions; however, these will not be permitted within the Containment Zones.
সারকুলারে আরও ব লা হয়েছেঃ- Defense and Security services, Health and Family Welfare, Police, Prisons, Home Guards, Civil Defence, Fire and Emergency Services, Disaster management and related services, National Informatics Centre (NIC), Customs, Food Corporation of India (FCI), National Cadet Corps (NCC), Nehru Yuvak Kendra (NYK) and Municipal services shall function without any restrictions; delivery of public services shall be ensured and necessary staff will be deployed for such purpose.