Hare to Whatsapp
গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে নবনিযুক্ত ভেটেরিনারি অফিসারদের ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হবে : প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ২১, ২০২৪: রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গ্রামীণ এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নেও এই দপ্তর অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে কাজ করছে। দপ্তরের এই ভূমিকায় নবনিযুক্ত ভেটেরিনারি অফিসারদেরও আগামীদিনে ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য চাই সততা, নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, ইতিবাচক মনোভাব ও নিয়মানুবর্তিতা। ২০ নভেম্বর গোর্খাবস্তিস্থিত প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের কনফারেন্স হলে ৬৭ জন ভেটেরিনারি অফিসারের (টিভিএস গ্রেড-V) হাতে অফার অব এপয়েন্টমেন্ট তুলে দিয়ে প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী বলেন, আজ ৬৭ জনকে অফার অব এপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ জন মহিলা রয়েছেন। আরও ১০৯টি শূন্যপদ পূরণে খুব শীঘ্রই প্রশাসনিক প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যকে প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভর করে তুলতে নবনিযুক্ত ভেটেরিনারি অফিসারদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে। রাজ্যের উন্নয়নে প্রাণীসম্পদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। প্রাণীসম্পদকে প্রাথমিক সেক্টর হিসেবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ জিএসডিপি (গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) আসে কৃষি সহ সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক সেক্টর থেকে। এজন্য প্রাথমিক সেক্টরগুলির উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্ৰী প্রাণীসম্পদকে ভিত্তি করে রাজ্যের উন্নয়নে নবনিযুক্ত অফিসারদের উদ্ভাবনী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দপ্তরের অধিকর্তা ডা. নীরজ কুমার চঞ্চল। তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা ডা. বি কে দাস। অনুষ্ঠানে প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সহ অতিথিগণ ভেটেরিনারি অফিসারদের হাতে অফার অব এপয়েন্টমেন্টগুলি তুলে দেন।