Hare to Whatsapp
জনজাতিদের উন্নয়ন সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ১২, ২০২৪: জনজাতিদের উন্নয়ন সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি প্রত্যন্ত জনপদের জনজাতি অংশের শিক্ষার্থীদের সর্বোৎকৃষ্ট সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। জনজাতিদের শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান, ছাত্রাবাসের আপগ্রেডেশন, ছাত্রাবাসগুলিতে সুযোগ সুবিধা পৌছে দেওয়া সহ আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। ১১ নভেম্বর আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১ নং প্রেক্ষাগৃহে সমগ্র শিক্ষা, ত্রিপুরা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পিএম জনমন প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১০টি ছাত্রাবাসের ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, আজ রাজ্যের ৪টি জেলার ৬টি ব্লকে ১০টি হোস্টেল নির্মানের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পিএম জনমন প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি স্বপ্নের প্রকল্প। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি জনজাতিদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। যাদের জন্য আগে কেউ চিন্তাভাবনা করেনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ২২ হাজার আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম এবং ২০০টি জেলায় অবস্থিত অতি দুর্বল জনজাতি গোষ্ঠী (PVTG) পরিবারগুলোর কাছে সমস্ত ধরণের সরকারি সুযোগ সুবিধা পৌছানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জনজাতি আদিবাসি ন্যায় মহা অভিযান (পিএম জনমন) উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নকে স্বার্থক ও সফল করে তুলতে রাজ্য সরকারও বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী গতবছরের ১৫ নভেম্বর জনজাতি গৌরব দিবস উদযাপনের পূন্য দিনে পিএম জনমন প্রকল্পটির সূচনা করেছিলেন। এই প্রকল্পটি একাধিক মন্ত্রকের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাজ্যে এই প্রকল্পটির কাজ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করার উপরও মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব-আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রায়শই বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন না হলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর জনজাতিদের প্রতি আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গির ফলে একজন জনজাতি মহিলা দ্রৌপদি মুর্মু দেশের রাষ্ট্রপতি পদে এবং আমাদের রাজ্যের জনজাতি গোষ্ঠির রাজন্য পরিবারের যীষ্ণু দেববর্মা তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে আসীন রয়েছেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জনজাতিদের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সহ সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় রাজ্যের প্রভূত উন্নতির কথাও উল্লেখ করেন। আগামীদিনে ত্রিপুরা দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা'র নেতৃত্বে বর্তমান রাজ্য সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস এই মূলমন্ত্রকে পাথেয় করে কাজ করছে, যাতে জনজাতিরাও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির সাথে সমানভাবে এগিয়ে যেতে পারে। সরকার পিছিয়েপড়া জনজাতি ও অন্তিম ব্যক্তিকে সামনের সারিতে নিয়ে আসার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে চলেছে। সমস্ত ক্ষেত্রে ত্রিপুরা আগামীদিনে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, জনজাতিদের জন্য আজ এক ঐতিহাসিক দিন। বর্তমান রাজ্য সরকার জনজাতিদের কল্যাণে বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। জনজাতিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের সদর্থক ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমগ্র শিক্ষার রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা এন সি শর্মা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এস সি ই আর টি'র অধিকর্তা এল দার্লং।