Hare to Whatsapp
ভারতের একতা ও অখন্ডতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, অক্টোম্বর ৩০, ২০২৪: ভারতের একতা ও অখন্ডতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ঐক্যের প্রতীক লৌহ মানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন রাষ্ট্রীয় একতা দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ২৯ অক্টোবর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে রাজ্যভিত্তিক রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী। দেশের স্বাধীনতালাভের পর তিনি ভারতীয় ঐক্য তথা ভারতীয় ফেডারেশন তৈরী করার ক্ষেত্রে দেশের রাজন্য শাসিত অনেক ছোট ছোট রাজ্যকে ভারত ইউনিয়নের সাথে একত্রিত হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার গঠন হওয়ার পর ৩১ অক্টোবর দিনটি রাষ্ট্রীয় একতা দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাঝে মাঝে বিভেদকামি শক্তি ভারতের ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চেষ্টা করে। সেই নেতিবাচক শক্তির বিরুদ্ধে সজাগ হওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়েই একতা দিবস পালন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেন, একতা দিবস আমাদের মধ্যে মূল্যবোধ এবং সুস্থ সংস্কৃতিকে জাগিয়ে তুলে। এই দিনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের দেশপ্রেমী ভাবধারাকে মানুষের সামনে তুলে ধরা। তিনি বলেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা ভারতবাসী। হিংসা, বিদ্বেষকে পেছনে ফেলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য সভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য, বিধানসভায় সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়, বিধায়ক অন্তরা দেব সরকার, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, ডি জি পি ইন্টিলিজেন্স অনুরাগ ধ্যানকর, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার, অলিম্পিয়ান পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা, ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় সহ উপস্থিত অতিথিগণ পতাকা নেড়ে রান ফর ইউনিটির সূচনা করেন। ইউনিটি রানে টি এস আর, আসাম রাইফেলস, এন এস এস, ক্রীড়াবিদ, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেন। রান ফর ইউনিটি স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে উমাকান্ত একাডেমী মাঠে এসে সমাপ্ত হয়। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।